খুন,গুম, হত্যা ও নির্যাতনের মাধ্যমে এদেশের মানুষকে অতিষ্ঠ করে ফেলেছে।
রাজধানীর গোপিবাগে রোববার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপিমনোনীত মেয়রপ্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার হোসেনের গণসংযোগে আওয়ামী লীগের হামলার পর প্রতিনিয়তই তার গণসংযোগে লোকজন বাড়ছে। হামলার পরদিন গতকাল সোমবার রাজধানীর খিলগাঁও থেকে গণসংযোগ শুরু করে শাহজাহানপুর সহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করেন তিনি। এসময় তার সাথে হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থক অংশ নেয়। এতে নেতাকর্মী ও সমর্থকদের অংশগ্রহণ ছিল পূর্বের গণসংযোগ গুলোর চাইতে অনেক বেশি। এরপর আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে ইশরাক হোসেন তার নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণার পর বেলা ২ টা ৩০ মিনিটে ধানমন্ডি ২৭ এর সাম্পান রেস্তোরাঁরর সামনে দিয়ে ১৮ তম দিনের গণসংযোগটি শুরু করেন। যা জনস্রোতে পরিণত হয়েছে।
বেলা দুটা থেকে ধানমন্ডি ২৭ এর সম্পান রেস্তোরাঁর সামনে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা জড়ো হতে শুরু করেন। বেলা আড়াইটায় গণসংযোগ শুরু করার সময় সেখানে কয়েক হাজার নেতাকর্মীর উপস্থিতি ঘটে। এসময় অর্ধশত মোটরসাইকেলসহ কয়েক হাজার নেতাকর্মী নিয়ে গণসংযোগ শুরু করেন বিএনপির এই মেয়রপ্রার্থী। এ সময় তার সাথে থাকা হাজার হাজার নেতাকর্মী ধানের শীষের পক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। এসময় তারা কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির স্লোগান দেন।
গণসংযোগে মোটরসাইকেল নিয়ে অংশ নেয়া সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রদল নেতা রুবেল হোসেন বলেন, আমরা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই। আমরা চাই এদেশে গণতন্ত্র মুক্তি পাক, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পাক, দেশনায়ক তারেক রহমান দেশের মাটিতে ফিরে আসুক। আমার বিশ্বাস ১ ফেব্রুয়ারি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকের বিজয়ের মাধ্যমে এদেশে গণতন্ত্র মুক্ত হবে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পাবে এবং দেশনায়ক তারেক রহমান দেশের মাটিতে ফিরে আসবে। তাই এই নির্বাচনে বিজয় লাভের জন্য একজন বিএনপিকর্মী হিসেবে যে ত্যাগ স্বীকার করতে হয় আমরা তা করতে প্রস্তুত আছি।
গণসংযোগে অংশ নেয়া ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম বাদল বলেন, আজকের গণসংযোগের যে জনস্রোতের সৃষ্ট হয়েছে তা প্রমাণ করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মানুষ ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেয়া মেয়রপ্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকেই মেয়র হিসেবে দেখতে চান। সরকার যদি নির্বাচনের দিন জনগণকে ভোট দিতে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করে, জনগণ যদি নাগরিক অধিকার ভোট সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে পারে তবে আমরা নির্বাচনে বিজয়ের ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চিত।
গণসংযোগে অংশ নেয়া মহিলা দল নেত্রী হেলেন জেরিন খান বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে আটক করে রাখা হয়েছে এবং দেশনায়ক তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলা দিয়ে দেশের বাইরে থাকতে বাধ্য করেছেন। তারা এ দেশের সকল গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে ফেলেছে। খুন,গুম, হত্যা ও নির্যাতনের মাধ্যমে এদেশের মানুষকে অতিষ্ঠ করে ফেলেছে। এদেশের মানুষ এখন এই ফ্যাসিস্ট সরকারের হাত থেকে রক্ষা চায়। তাই ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের মানুষ ১ ফেব্রুয়ারি ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দেয়ার জন্য অধীর অপেক্ষায় আছে। আমার বিশ্বাস ১ ফেব্রুয়ারি জনগণ সকল বাধা উপেক্ষা করে ভোটকেন্দ্রে যাবেন, তাদের নাগরিক অধিকার ভোট প্রয়োগ করবেন এবং তাদের ভোট রক্ষায় যা যা করণীয় তা তা করবেন।