দাম বেড়েছে সব ধরনের চাল, মসলা ও শীতকালীন সবজির

0

দেশে একের পর এক প্রায় সব ধরনের পণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতি জনজীবনে অস্বস্তিকর অবস্থা সৃষ্টি করেছে। এক মাসের মধ্যে দুই দফা দাম বেড়েছে চালের বাজারে। চালের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দাম বাড়ার তালিকায় যোগ হয়েছে মসলা।

শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, হাতিরপুল, মোহাম্মদপুর, শান্তিনগরসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় এমন চিত্র দেখা যায়।

টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, এক মাস আগের তুলনায় প্রায় ৫ শতাংশ বেড়েছে সকল চালের দাম।

হাতিরপুল বাজারের খুচরা চাল ব্যবসায়ী কামরুল ইসলাম বলেন, আমরা মিল মালিকদের কাছ থেকে পাইকারি দরে চাল কিনি। এখন মিল মালিকরা দাম বাড়ালে আমাদেরও বেশি দামে কিনে আনতে হয়। ফলে খুচরা বাজারে দাম আরও বাড়বে।

এছাড়া গত দেড় মাস ধরে দফায় দফায় দাম বেড়েছে রান্নায় প্রয়োজনীয় পণ্যের। কোনো কোনো মসলার দাম বেড়েছে দ্বিগুণ।

ক্রেতাদের অভিযোগ, সরকারিভাবে বাজার মনিটরিং না থাকায় বেড়েই চলছে মসলার বাজার। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিশ্ববাজারে মসলার দাম বাড়ায় এর প্রভাব পড়েছে দেশের বাজারগুলোতে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়- এলাচ বিক্রি হচ্ছে চার হাজার ৬শ থেকে পাঁচ হাজার ৫শ টাকা কেজি দরে। অথচ এক থেকে দেড় মাসে আগে এলাচ বিক্রি হয়েছিল দুই হাজার ৭শ থেকে তিন হাজার টাকা কেজি দরে। জয়ত্রী বিক্রি হচ্ছে- তিন হাজার ৫শ থেকে তিন হাজার ৬শ টাকা কেজি দরে। এর আগে জয়ত্রী বিক্রি হয়েছিল এক হাজার ৭শ থেকে এক হাজার ৮শ টাকা কেজি দরে। জায়ফল গত দেড় মাসে দ্বিগুণ বেড়ে এখন বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে আটশো টাকা কেজি দরে, এর আগে তা বিক্রি হয়েছিল চার শ থেকে চার শ ৬০ টাকা কেজি দরে।

খোলা গুঁড়া মরিচের দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ১৫০ টাকা যা বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৩৩০ টাকা কেজি দরে। একইভাবে শুকনো মরিচ কেজিতে ১৩০ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে তিন শ টাকা কেজি দরে, কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি দারুচিনি বিক্রি হচ্ছে চার শ থেকে ৪২০ টাকা। কেজিতে ৩০ টাকা বেড়ে ধনিয়ার গুঁড়া বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়, কেজিপ্রতি ১শ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি কালো এলাচ বিক্রি হচ্ছে ৯৫০ থেকে এক হাজার টাকায়, কেজিতে ৩০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি হলুদ গুঁড়া বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়।

তবে অন্যান্য মসলাজাতীয় পণ্য যেমন আদা, রসুন, পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচের দাম কিছুটা কমেছে। খুচরা বাজারে দেশি রসুন ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা, ইন্ডিয়ান ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, আদা ১৭০ থেকে ১৯০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ১০০ থেকে ১১০ টাকা, পাকিস্তানি পেঁয়াজ ৮০, চায় না ৬০ টাকা, বার্মা ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

অন্যদিকে, ভরা মৌসুমেও চড়া দামে বিক্রয় হচ্ছে সবজি।  বেশির ভাগই বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৫০ টাকা থেকে ৭০ টাকার মধ্যে। বিক্রেতারা বলছেন, তীব্র শীতের কারণে বাজারে সবজির আমদানি না আসায় দামও কমছে না। তবে দুই-এক সপ্তাহের মধ্যেই দাম কমে কমতে পারে। শসা ৪০-৬০ টাকা, পেঁপে ৪০-৬০ টাকা, করলা ৫০-৭০ টাকা, দেশি পাকা টমেটো ৪০-৬০ টাকা, শিম ৪০-৫০ টাকা, গাজর ৪০-৫০ টাকা, মুলা ২০-২৫ টাকা, নতুন গোল আলু ২৫-৩০ টাকা, শালগম ৩০-৪০ টাকা, বেগুন ৪০-৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। শীতের অন্যতম সবজি ফুলকপি ও বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকা প্রতি পিস।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com