সংবিধান অনুযায়ী দেশ পরিচালিত হচ্ছে না, আর সংসদ এখন মহাজোটের কেন্দ্রীয় কার্যালয়: হারুন

0

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য হারুনুর রশিদ বলেছেন, বর্তমানে দেশ আইন ও সংবিধান অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে না। জাতীয় সংসদে এখন কোনো বিরোধী দল নেই। 

হারুন বলেন, আমাদের সমাবেশের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জাতীয় সংসদে বিএনপির সাতজন এমপি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছিলাম। কিন্তু আমি দেশের বাইরে থাকার কারণে আমার পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়নি। আমি গতকাল (বুধবার) রাতে দেশে এসেছি এবং আজ জাতীয় সংসদের মাননীয় স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি।

বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় জাতীয় সংসদে এসে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আপনারা অবগত আছেন, বর্তমানে দেশ আইন ও সংবিধান অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে না। এখন এই জাতীয় সংসদ মহাজোটের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পরিণত হয়েছে। কারণ জাতীয় সংসদে এখন কোনো বিরোধী দল নেই। এটি একদলীয় সংসদ। সংবিধান ও কার্যপ্রণালীতে এ ধরনের সংসদের কোনো সুযোগ নেই। আমরা সরকারকে আহ্বান জানাই, বর্তমানে রাষ্ট্রকে যেভাবে পরিচালনা করছে, যদি এভাবে পরিচালনা করতে হয় তাহলে সংবিধান এবং আইনের পরিবর্তন আনতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আপনারা জানেন; কয়েকদিন আগে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রধান কার্যালয়ে যে নারকীয় তাণ্ডব চালানো হয়েছে, এটি একটি গণতান্ত্রিক সভ্য দেশে কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আজকে পার্টির মহাসচিব, চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানসহ সব নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা, জঙ্গি ও নাশকতার মামলা দিয়ে তাদেরকে আটক রাখা হয়েছে। যেটা আইনের শাসনের সম্পূর্ণ পরিপন্থী। দেশে আইনের শাসন বলতে কিছু নেই। সুতরাং আজকে যদি বাংলাদেশকে একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করতে হয় এবং সত্যিকার অর্থে যদি রাজনৈতিক দলগুলোর সভা, সমাবেশ, মত প্রকাশে যে স্বাধীনতা রয়েছে, সংবিধানের যে অধিকার রয়েছে, সেটি যদি সরকার নিশ্চিত করতে চায়, তাহলে অবিলম্বে এই সংসদকে বাতিল করতে হবে।

সাবেক এই এমপি বলেন, সব দলের চাওয়া অনুযায়ী একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কালীন সরকার অর্থাৎ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মধ্য দিয়েই নির্বাচন করতে হবে। এখন নির্বাচন প্রহসনে পরিণত হয়েছে। এখানে জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে না। যে কারণে বিএনপি ও তার জোট অনেকদিন ধরে তাদের আন্দোলন সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছে। আমি অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে চাই, সরকার কূটকৌশলের মাধ্যমে ক্ষমতা ধরে রেখেছে। আমরা আহ্বান জানাচ্ছি সরকার এবং মহাজোটের শরিকরাও সংসদ থেকে পদত্যাগ করবে।

তিনি বলেন, সরকার যে নারকীয় তাণ্ডবের মাধ্যমে বিএনপির মহাসচিব ও অন্যান্য নেতাদের আটক করেছে, তাদের মুক্তি দিতে হবে। যে ধারায় তাদের আটক করা হয়েছে, সেটি জামিন যোগ্য। এর বাইরেও আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হোক, তারেক রহমানকে দেশে ফিরে আসার সুযোগ দেওয়া হোক। আগামী নির্বাচনে যদি বিএনপি এবং এর শরীকের অংশগ্রহণ না করে তাহলে এটা ফাঁকা মাঠে নির্বাচন করা হবে। প্রতিপক্ষ থাকবে না, কোনো রাজনৈতিক দল মাঠে থাকবে না, এটি সরকারের বোধোদয় হওয়া উচিত।সূত্র: ঢাকাপোস্ট

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com