মির্জা ফখরুল-মির্জা আব্বাস মামলায় অজ্ঞাতনামা হলে গ্রেপ্তার কেনো, প্রশ্ন গয়েশ্বরের

0

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনের ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলার আসামি ছিলেন না দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তাদেরকে কেনো গ্রেপ্তার করলেন? মামলায় কিছু নেতার নাম উল্লেখ ছিলো বাকিরা ছিলেন অজ্ঞাতনামা। বিএনপির এই দুই শীর্ষ নেতা অজ্ঞাতনামা?

বুধবার (২১ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের (বিএসপিপি) উদ্যোগে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ কারাবন্দী নেতাদের মুক্তির দাবিতে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় সরকারকে উদ্দেশ করে বলেন, দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের গ্রেপ্তার করেছিলেন ১০ ডিসেম্বর গোলাপবাগের গণসমাবেশ ভন্ডুল করতে। কিন্তু পারেননি। জনগণ গণসমাবেশ সফল করে দিয়েছে। তাই আপনারা ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। আপনাদের পদত্যাগের সময় হয়ে গেছে। যেতে না চাইলেও তাকে যেতে হবে। যদি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করে সরকারকে সহযোগিতা করবে বিএনপি। অন্যথায়, পদত্যাগ করানোর জন্য সবধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, সরকার নিজ ইচ্ছায় পদত্যাগ করলে হয়তো জনগণ ক্ষমা করে দিতে পারে। অন্যথায় পরিণত ভালো হবে না। জনগণ তাদের ছাড়বে না। জনগণ যখন অধিকার আদায়ের সক্রিয় হয়, সাহসী হয় তখন তারা প্রস্তুত থাকে বুক পেতে দেয় গুলি খাওয়ার জন্য। সেই জনগণকে কখনো থামিয়ে রাখা যায় না। বিষয়টি সরকারকে স্মরণ রাখতে হবে।

গয়েশ্বর বলেন, সরকারের পতনের পর তাদের ইতিহাস জেনে আর কোনোদিন কেউ চেঙ্গিস খান, হিটলার ও স্বৈরাচারদের গল্প শুনবে না। আমরা হিটলারের গল্প শুনেছি, চেঙ্গিস খানের গল্প শুনেছি, বিশ্বের বহু স্বৈরাচারের গল্প শুনেছি। আমি জানি, এ সরকারের পতনের পর তাদের নিষ্ঠুরতা ইতিহাসও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম জানবে। সুতরাং সবকিছুই সীমা আছে। সীমালঙ্ঘন করলে ঈশ্বর ক্ষমা করেন না।

তিনি বলেন, এখনো সময় আছে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে বলে যান, যা হওয়ার হয়েছে। আমাকে ক্ষমা করেন। আমি এ ধরনের কাজ আর করবো না। আমি সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে সরে দাড়াবো।

এদিকে আজ বুধবার (২১ ডিসেম্বর) বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের মামলায় আদালতে জামিন আবেদন করা হয়। তবে রাজনৈতিক নেতা, সম্মানিত ব্যক্তি হওয়ায় কারা কর্তৃপক্ষকে তাদের সর্বোচ্চ সু-চিকিৎসার নির্দেশ দেন আদালত।

 

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। আসামিদের পক্ষে জামিন শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও মাসুদ আহমেদ তালুকদার। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু জামিনের বিরোধিতা করেন।

 

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুরের আদেশ দেন। এর আগে, এদিন সকালে তাদের পক্ষে সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ জামিন আবেদন করেন। আদালত জামিন আবেদনের ওপর শুনানির জন্য বিকেল ৩টায় সময় নির্ধারণ করেন।
তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com