পিটার হাস ইস্যুতে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে: বিএমএ
ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ইস্যুতে সারা বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সাবেক নেতৃবৃন্দ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছেন।সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. একেএম আজিজুল হক ও সাবেক মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এডেজএম জাহিদ হোসেনসহ শতাধিক বিএমএ নেতৃবৃন্দ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন।
বিবৃতিতে তারা বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত গত ১৪ ডিসেম্বর রাজধানীর শাহীনবাগে গুম হওয়া বিএনপি নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমনের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান। এ সময় ‘মায়ের কান্না’ নামধারী একটি সংগঠনের ব্যানারে কতিপয় লোক তাকে একটি স্মারকলিপি দেয়ার নামে এক অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করে। বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে দেখা যায় কতিপয় ব্যক্তি তার দিকে ও তার গাড়ির দিকে ঔদ্ধত্যপূর্ণভাবে এগিয়ে যায়, যা অগ্রহণযোগ্য।
তারা আরও বলেন, কয়েক বছর পূর্বে আমেরিকার আর একজন রাষ্ট্রদূত মার্শা ব্লুম বার্নিকাটের ওপরও বর্তমান সরকার দলীয় কতিপয় ব্যক্তি হামলা করেছিলো। একটি দেশের রাষ্ট্রদূতের ওপর হামলা বা অসৌজন্যমূলক আচরণ সেই দেশের প্রতি হুমকিস্বরূপ এবং সেই সঙ্গে বাংলাদেশে অবস্থানরত অন্যান্য দেশের প্রতিনিধিদের প্রতিও হুমকি স্বরূপ।
আরও বলেন, এহেন কর্মকাণ্ডে সারা বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন হওয়ায় গভীরভাবে উদ্বিগ্ন ও শঙ্কিত। বর্তমান সরকার সারা দেশে অগণতান্ত্রিক আচরণের মাধ্যমে দেশের মানুষের নিরাপত্তা প্রদানে ব্যর্থ হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বহির্বিশ্বের প্রতিনিধিদের নিরাপত্তা প্রদানেও ব্যর্থ। পারিপার্শ্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে মনে হয় পরিকল্পিতভাবেই এসব ঘটনা ঘটানো হয়। কিন্ত এতে দেশের ভাবমূর্তি বিশ্বের কাছে কোন তলানিতে পৌঁছেছে তা উপলব্ধি করার সক্ষমতাও এ সরকারের নেই বলেই মনে হয়। তাই তারা একের পর এক কূটনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত কর্মকাণ্ড ও নির্লজ্জ মিথ্যাচার করে যাচ্ছে।
বিএমএ’র সাবেক নেতৃবৃন্দ এহেন ন্যাক্কারজনক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিবর্গের এবং তাদের পিছনের হোতাদের শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে দেশের ভাবমূর্তিকে পুনরুদ্ধারের জোর দাবি জানাচ্ছি।