পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশন এমডির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ
পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশনের (পিডিবিএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মওদুদউর রশিদ সফদারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, সরকারি প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলেছেন প্রতিষ্ঠানটির চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
রবিবার (১৮ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে পিডিবিএফ’র সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ অভিযোগ করেন। এ সময় তারা পিডিবিএফ এমডির বিচার, চাকরি থেকে অপসারণ ও চাকরিচ্যুত কর্মীদের চাকরিতে পুনর্বহালের দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পিডিবিএফ’র চাকরিচ্যুত কর্মী শোহাদা নাফছিল। তিনি বলেন, ‘স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের দায়িত্বপাপ্ত প্রতিমন্ত্রীর আস্থাভাজন ব্যক্তি হিসেবে গত ২০২০ সালের ২১ ডিসেম্বর আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক একটি প্রবিধানমালার মাধ্যমে প্রশ্নবিদ্ধ প্রক্রিয়ায় অর্থাৎ প্রবিধানমালা গেজেট আকারে প্রকাশের আগেই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ও আবেদনকারীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণের মাধ্যমে সম্পূর্ণ বে-আইনীভাবে মউদুদউর রশিদ সফদারকে পিডিবিএফ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। এছাড়া এমডি নিয়োগ ও চাকরি প্রবিধানমালা অনুযায়ী গত ২৪ আগস্ট সফদারের বয়স ৬২ বছর অতিক্রান্ত হওয়ায় তিনি অবৈধভাবে পিডিবিএফ’র এমডি হিসেবে চাকরি করছেন।
তিনি আরও বলেন, মউদুদউর রশীদ সফদারের অপেশাদার মনোভাবাপন্ন ও মাইক্রোফাইন্যান্স কার্যক্রম বাস্তবায়নে অনভিজ্ঞ ব্যবস্থাপনা, অনিয়ম ও দুর্নীতি প্রতিষ্ঠানটিকে গ্রাস করে ফেলেছে। তার এসব অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় প্রায় ৫০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বিনা দোষে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। চাকরিচ্যুত করা হয়েছে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদেরও। সফদারের অপশাসন, অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি ও অদূরদর্শিতার কারণে প্রতিষ্ঠানটির প্রায় সাড়ে চার হাজার কর্মী এবং প্রায় সাড়ে ১১ লাখ সুফলভোগী পরিবার অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে তার অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে দুটি শ্বেতপত্র এবং একাধিক জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আর ছিলেন– পিডিবিএফ’র দারিদ্র বিমোচন কর্মকর্তা মশিউর রহমান ও মাঠ কর্মকর্তা তানভীর আহমেদসহ চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।