দেশদ্রোহীদের “গুলি মারো” স্লোগান উঠল ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর নির্বাচনী প্রচারে
উত্তর-পশ্চিম দিল্লির রিথালা বিধানসভা কেন্দ্রে সোমবার চলছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের প্রচার সভা। সেই সভা থেকেই অশ্রাব্য ভাষা ব্যবহার করে “গুলি মারার’ স্লোগান উঠে এল। এদিন সোশাল সাইটে ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে শোনা গিয়েছে, প্রচার সভায় অনুরাগ ঠাকুর স্লোগান তুলছেন, “দেশের বিশ্বাসঘাতকদের…”, এর পরেই উপস্থিত কর্মী-সমর্থকদের বলতে শোনা গিয়েছে “গুলি মার শা…”। অর্থাৎ দেশের সঙ্গে যারা বিশ্বাসঘাতকতা করেছে তাদের গুলি করে মারো। যদিও এদিনের এই স্লোগান প্রসঙ্গে দায় এড়াতে বিজেপি বলেছে, উপস্থিত জমায়েত থেকে ওই স্লোগান উঠেছে। কিন্তু ভিডিও দেখলে স্পষ্ট বোঝা যাবে, কেন্দ্রীয় ওই মন্ত্রীর তোলা স্লোগানের জবাব দিতেই ওই “গুলি মারো” স্লোগান। এমনকি, ওই ভিডিওতে
এ বিষয়ে এনডিটিভি’র তরফে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে রিথালা কেন্দ্রের রিটার্নিং আধিকারিক বলেছেন, “আমরা একটা ভিডিও হাতে পেয়েছি। সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” প্রাথমিক তদন্তে দেখা গিয়েছে ওই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী মণীশ চৌধুরি মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। যদিও ঠিক কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে স্পষ্ট করেননি ওই আধিকারিক। শুধু জানিয়েছেন, যদি তদন্তে প্রমাণিত হয়, সত্যি ওই স্লোগান তোলা হয়েছিল, তাহলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির থেকে কৈফিয়ত তলব করা হবে। এই প্রসঙ্গে বিজেপিকে আসল “বিশ্বাসঘাতক” বলে কটাক্ষ করেছেন কংগ্রেস নেতা কীর্তি আজাদ। তিনি দলের তরফে প্রচার কমিটির প্রধান। এদিন সংবাদ মাধ্যমকে কীর্তি আজাদ বলেন, “দেশের শান্তি ও সম্প্রীতি নষ্ট করছে বিজেপি। তাই ওরা আসল বিশ্বাসঘাতক।”
একই ধরণের স্লোগান, সিএএ-পন্থী পদযাত্রাতেও শোনা গিয়েছে। মহারাষ্ট্রের নাগপুরে বিজেপির পতাকা হাতে সিএএ-পন্থী মিছিলে একই স্লোগান শোনা গিয়েছে। সম্প্রতি বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করার দায়ে বিজেপি প্রার্থী কপিল মিশ্রর প্রচারে ৪৮ ঘণ্টার জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কমিশন। শনিবার বিকেল ৫টা থেকে লাগু হওয়া ওই নিষেধাজ্ঞা সোমবার বিকেলে উঠেছে। এদিকে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি দিল্লির ৭০টি আসনে নির্বাচন। আর ফল ঘোষণা আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি।