‘অসংখ্য মুসলিমকে রাষ্ট্রহীন করবে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন, আশঙ্কা ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের
ইউরোপিয়ান ইউনিয় বলছে, ভারতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও প্রস্তাবিত এনআরসি মুসলিম নাগরিকদের অধিকার খর্ব করছে। এমনকী ভারতে বিরোধী স্বর দমিয়ে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। লঙ্ঘিত হচ্ছে মানবাধিকারও। তাঁদের তৈরি খসড়া প্রস্তাবে জম্মু -কাশ্মীরের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কথাও তুলে ধরা হয়েছে। ইতিপূর্বে কেন্দ্র সরকার আয়োজিত জম্মুকাশ্মীর সফর বাতিল করেছিলেন ইইউ’র সদস্যরা।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে পাঁচ পাতার খসড়া প্রস্তাব তৈরি করেছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সদস্যরা। তাদের অভিযোগ, “ভারতে নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করতে যে পন্থা নেওয়া হয়েছে তা বিশ্বব্যাপী বৃহত্তর রাষ্ট্রহীনতার পরিসর তৈরি করবে। রাষ্ট্রহীন হবে বহু মুসলিম। অসংখ্য মানুষকে যার ফল ভুগতে হবে।” ৭১তম সাধারণতন্ত্র দিবসে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের এধরণের প্রস্তাব কেন্দ্রের মোদি সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলবে বলেই করছে ওয়াকিবহাল মহল।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। এমনকী বেশ কয়েকটি দেশও ভারতে এই আইন কার্যকর করার বিরোধিতা করেছে। তবুও নিজেদের অবস্থান থেকে সরতে নারাজ কেন্দ্র সরকার। তবে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ১৫০ সদস্যের আনা খসড়া প্রস্তাব যে বিশ্বের দরবারে কেন্দ্রকে বড়সড় সমস্যা ফেলবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের আগামী অধিবেশনে এই খসড়া প্রস্তাব পেশ করা হবে বলে খবর।
খসড়া প্রস্তাবে বলা হয়েছে, “ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ধর্মীয়ভাবে সংখ্যালঘুদের জন্য বিভেদমূলক। দুর্ভোগ তৈরি করবে। ভারতে বিরোধী কণ্ঠস্বর রোধ করা হচ্ছে। এমনকী মানবাধিকার সংগঠন, সাংবাদিক ও সরকার বিরোধীদের কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না।” ভারত আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘন করছে বলেও অভিযোগ করেছেন ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ওই সদস্যরা। ইতিপূর্বে রাষ্ট্রসংঘের তরফে এই আইনের সমালোচনা ইতিপূর্বে নাগরিক অধিকার খর্ব হওয়ায় ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের সমীক্ষায় বিশ্ব গণতন্ত্র সূচকে ১০ ধাপ নিচে নেমেছে ভারত। এরপর আগামী সপ্তাহে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অধিবেশনে এই প্রস্তাব পাস হলে আন্তর্জাতিক মহলে ভারতে মর্যাদা ক্ষুণ্ম হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।