৭৩-এ পা রাখলেন মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ৭২ বছর পূর্ণ হলো রোববার। ১৯৪৮ সালের এ দিনে ঠাকুগাঁওয়ে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিবকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে সকালে তার উত্তরার বাসায় যান দলের বেশ কিছু নেতা-কর্মী। তাদের কাছে দোয়া চান তিনি। জন্মদিনে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানোয় আগেই বারণ করে দিয়েছেন ফখরুল।
বিকালে গুলশানের কার্যালয়ে কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠকের জন্য আসা দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরাসহ কেন্দ্রীয় নেতারাও মহাসচিবকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান।
জন্মদিন নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গণমাধ্যমকে বলেন, জন্মদিন মানে আরো একটি বছর চলে গেছে, বৃদ্ধ থেকে বৃদ্ধের পথে যাচ্ছি। সকালে ঘুম ভেঙেছে আমার বড় মেয়ের টেলিফোনে। সে-ই প্রথম ‘হ্যাপি বার্থ ডে, বাপি!’ বলল।
তবে দলীয় প্রধান খালেদা জিয়া কারাবন্দি থাকায় জন্মদিন নিয়ে বাড়তি উচ্ছ্বাস নেই বলে জানালেন ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী, এদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে, নিদারুণ কষ্ট-যন্ত্রণায় আছেন তিনি। এ রকম একটা অবস্থায় জন্মদিন নিয়ে কি বা বলার আছে?
দুই মেয়ে নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও রাহাত আরা বেগমের সংসার। উত্তরায় ভাড়া বাসায় থাকেন তারা।
বড মেয়ে শামারুহ মির্জা স্বামী-সন্তান নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় আছেন। সিডনির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পোস্টডক্টরাল ফেলো হিসেবে কাজ করছেন তিনি।
ছোট মেয়ে সাফারুহ মির্জা ঢাকার একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে শিক্ষকতা করেন।
মির্জা ফখরুলের বাবা প্রয়াত মির্জা রুহুল আমিন মুসলিম লীগের নেতা ছিলেন, মন্ত্রীও ছিলেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী ফখরুল ছাত্র জীবনে বাম রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ছিলেন তিনি।
ঢাকা কলেজসহ কয়েকটি সরকারি কলেজে শিক্ষকতা করেছেন ফখরুল। সরকারি চাকরি ছেড়ে আশির দশকে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে যুক্ত হন তিনি।
২০০১ সালে ঠাকুরগাঁও-১ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে চার দলীয় জোট সরকারের বেসামরিক বিমান চলাচল ও কৃষি প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন মির্জা ফখরুল।
বিএনপি মহাসচিব হওয়ার আগে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন ফখরুল। এই পদটি সৃষ্টি করা হয়েছিল তারেক রহমানের জন্য। তিনি দলের জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান হওয়ার পর ওই পদে মির্জা ফখরুলকে আনেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের মৃত্যুর পর ২০১১ সালে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হন মির্জা ফখরুল। ২০১৬ সালে বিএনপির ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলে মহাসচিব তিনি।