তারেক-জোবায়দার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার প্রতিবাদ আইনজীবীদের
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা: জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার প্রতিবাদে সুপ্রিম কোর্টে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা।
বুধবার (২ নভেম্বর) দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সামনে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট ইউনিট আয়োজিত সমাবেশে তিন শতাধিক আইনজীবী এ প্রতিবাদ জানান।
সমাবেশে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মাদ নাছির উদ্দিন সরকার প্রধানকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘জনগণ বিএনপির সাথে আছে। সেজন্য আপনি পদত্যাগ করে নিজের ইজ্জত নিয়ে চলে যান। তা না হলে ১০ ডিসেম্বরের আগে কোনো দুর্ঘটনা হলে আমরা দায়ী হব না।’
তিনি আরো বলেন, ‘আজ দেশের মানুষ ক্ষুব্ধ। ডা: জোবায়দা রহমান একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চিকিৎসক। কতটুকু হিংসুটে হলে জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা যায়। আর তারেক রহমানের বিরুদ্ধে তো ওয়ারেন্ট হচ্ছে খেলা। আমি অপেক্ষা করছি এমন এক দিনের, বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষ যেদিন তারেক রহমানকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেবে।’
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ফোরামের সভাপতি সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মাদ আলী, সংগঠনটির মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, জামিল আখতার ইলাহী, মো: আক্তারুজ্জামান, এ জেড এম মোরশেদ আল মামুন লিটন, মোক্তার কবির খান, মোহাম্মাদ আলী, মো: কামরুজ্জামান মামুন, গাজী তৌহিদুল ইসলাম, মাজেদুল ইসলাম পাটোয়ারী, ব্যারিস্টার শফিউল আলম মাহমুদ, মো: কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার মনিরুজ্জামান আসাদ, ব্যারিস্টার ইমাম হোসেন, ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী, শামিমা দীপ্তি, মাহমুদ হাসান, কে আর খান পাঠান, সগির হোসেন লিয়ন, মাহফুজ বিন ইউসুফ, মাহবুবুর রহমান খান, ব্যারিস্টার ফাইয়াজ জিবরান, জহিরুল ইসলাম সুমন, মো: মাকসুদ উল্লাহ, রোকনুজ্জামান সুজা, রতন, সৈয়দ ইজাজ, শেখ শিমুল, মো: কাইয়্যুম, সাগর হোসেন প্রমুখ।
সমাবেশটির সভাপতিত্ব করেন আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের সভাপতি আব্দুল জাব্বার ভূঁইয়া। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক গাজী কামরুল ইসলাম সজল।
আইনজীবী ফোরামের সভাপতি সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মাদ আলী বলেন, আমাদের সমাবেশ দেখে সরকার দিশেহারা হয়ে তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা: জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করেছে। আমরা এমন আচরণে ঘৃণা প্রকাশ করছি, প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই, আমরা যদি দৃঢ় পদক্ষেপে সামনে এগিয়ে যাই, অবশ্যই অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে পারব। আমাদের কেউ ঠেকাতে পারবে না।
সংগঠনটির মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, সংবিধানের প্রয়োজনে মানুষ নয়। মানুষের প্রয়োজনে সংবিধান। যারা এই সংবিধানকে সংশোধন করেছেন, তারা বাধ্য হবেন আবার তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে। যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা হবে, বেগম খালেদা জিয়া মুক্ত হবেন। বাংলাদেশে আবার সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ওই নির্বাচনে বেগম খালেদা জিয়াই আবার প্রধানমন্ত্রী হবেন।
তিনি আইনজীবীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আন্দোলন মাত্র শুরু হয়েছে। সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
কায়সার কামাল আরো বলেন, আমাদের বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা: জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে একটি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এসব করে লাভ হবে না। আমরা এসবের কেয়ার করি না। আমাদের প্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে।