আইএমএফের কাছে ঋণ আবেদনের মাধ্যমে সরকারের অর্থনৈতিক বিপর্যয় উন্মোচিত: রব
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৫.৮০ বিলিয়ন ডলার নাকি ২৭.৪ বিলিয়ন ডলার তা দেশবাসীকে জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব।
তিনি বলেছেন, গত কয়েক বছর ক্ষমতাসীন সরকার নিজেদের দুর্নীতি ও অদক্ষতা ঢাকতে দেশের ডলার রিজার্ভের পরিমাণ নিয়ে বেশ বড়াই প্রকাশ করে আসছিল।
যদিও এতে সরকারের তেমন কোনো কৃতিত্ব নেই। মূলতঃ ব্যবসায়ী সমাজের রফতানি এবং দেশের এক বিশাল প্রবাসী জনগোষ্ঠীর কষ্টার্জিত রেমিটেন্সের অবদান এই ডলার রিজার্ভ। তথাকথিত অপ্রতিরোধ্য উন্নয়নের অপ্রতিহত জোয়ারের বয়ান শেষে এখন আইএমএফের কাছে সাড়ে চারশো কোটি ডলারের ঋণ আবেদনের মাধ্যমে বর্তমান সরকারের অর্থনৈতিক বিপর্যয় উন্মোচিত হয়েছে।
শনিবার (২৯ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
জেএসডি সভাপতি বলেন, বাংলাদেশের রিজার্ভের যে তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়মিত প্রকাশ করে আসছে তার ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি নিয়েই প্রশ্ন তুলেছিল আইএমএফ। এই আন্তর্জাতিক সংস্থাটি যেকোনো দেশের রিজার্ভ হিসাবে বিপিএম৬ (ব্যালেন্স অব পেমেন্ট অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট পজিশন) পদ্ধতি অনুসরণ করে।
বর্তমানে সরকারের হিসাবে দেশের রিজার্ভের পরিমাণ ৩৫.৮০ বিলিয়ন ডলার অথচ আইএমএফের হিসাবে ২৭.৪ বিলিয়ন ডলার।
দেশের রিজার্ভ ২৭.৪ বিলিয়ন ডলার হলে সর্বসাকুল্যে আগামী ৩ মাসের ব্যালেন্স অব পেমেন্ট মেটানো যাবে। আগামী বছরের শুরু থেকে ব্যালেন্স অব পেমেন্টে বাংলাদেশের অবস্থান কী হবে তাও স্পষ্ট নয়।
রিজার্ভের টাকা খরচ করার অগ্রাধিকার নির্ধারণে সরকার চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। যার প্রমাণ, সরকার অতি উৎসাহী হয়ে সংকটের গভীরে নজর না দিয়ে নিজেদের ইমেজ বৃদ্ধির লক্ষ্যে শ্রীলঙ্কাকেও ঋণ দিতে উৎসাহবোধ করেছে।
এ অবস্থায় রিজার্ভ ও দেশের প্রকৃত অর্থনৈতিক অবস্থা দেশবাসীকে অবহিত করে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক বিপর্যয় ও দুর্ভিক্ষাবস্থা থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।