নোয়াখালীর সুবর্ণচরে রোহিঙ্গা কিশোরীকে আটকে রেখে ধর্ষণ, তিনমাস পর উদ্ধার
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে এক রোহিঙ্গা (১৪) কিশোরীকে তিনমাস আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে তিনজনকে আসামি করে মামলা হয়েছে চরজব্বর থানায়।
এর আগে বুধবার (২৬ অক্টোবর) রাতে ওই কিশোরীকে ৮ নম্বর মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন থেকে উদ্ধার করে চরজব্বর থানায় সোপর্দ করেন স্থানীয়রা। তিনমাস আগে ভাসানচর থেকে বিয়ের প্রলোভনে ওই কিশোরীকে সেখানে আনা হয়েছিল।
মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) মো. নুর আলাম ভুক্তভোগী কিশোরীর বরাত দিয়ে বলেন, তিনমাস আগে দালালের মাধ্যমে ভাসানচর ক্যাম্প থেকে বিয়ের প্রলোভনে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে কিশোরীকে সুবর্ণচরে নিয়ে আসেন মোহাম্মদ শাহাদাত (২৮) নামে এক যুবক। পরে উপজেলার খাসেরহাট রাস্তার মাথায় একটি বাড়িতে স্ত্রী পরিচয়ে রেখে ধর্ষণ করে আসছিলেন শাহাদাত।
এদিকে বিয়ে না করে গড়িমসি করা এবং শাহাদাতের সহযোগী কচি ওই কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টা করায় বিষয়টি স্থানীয়রা টের পান। পরে জানাজানি হলে কিশোরীকে একা ফেলে পালিয়ে যান অভিযুক্তরা। বুধবার রাতে স্থানীয় লোকজন ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে রোহিঙ্গা কিশোরীকে উদ্ধার করে থানায় সোপর্দ করেন।
অভিযুক্ত মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন উপজেলার চরআলাউদ্দিন গ্রামের মৃত আসাদুল হকের ছেলে। তার সহযোগী কচি (২৭) একই এলাকার রুহুল আমিনের ছেলে। অপর সহযোগী কামালের পরিচয় জানা যায়নি।