দেশে লোডশেডিংয়ে সীমাহীন দুর্ভোগ: দিনে রাতে ৭ থেকে ৮ বার লোডশেডিং হচ্ছে
দেশে মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিং শুরু হয়েছে। খোদ রাজধানীতে এলাকাভেদে দিনে রাতে সাত থেকে আটবার বিদ্যুতের লোডশেডিং করা হচ্ছে। সকাল থেকে গভীর রাত এমনকি শেষ রাতেও বাদ যাচ্ছে না এ লোডশেডিং।
এতে সীমাহীন দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে মানুষ। এ খাতের সাথে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ভুল নীতির খেসারত দিতে হচ্ছে জনগণকে। দায়মুক্তি আইন করে একের পর এক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে; কিন্তু এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালানোর জন্য প্রাথমিক জ্বালানি গ্যাস বা কয়লা উত্তোলনের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়নি। এমনকি প্রায় এক দশক আগে পাশের দেশের সাথে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তি করা হলেও গ্যাস উত্তোলনের কোনো কার্যকর কোনো ব্যবস্থা এখনো পর্যন্ত করা হয়নি। অথচ প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার গত চার বছর যাবৎ পাশের ব্লক থেকে বাণিজ্যিকভাবে গ্যাস উত্তোলন করে চীন ও ভারতের কাছে বিক্রি করছে। প্রাথমিক জ্বালানি নিশ্চিত করতে না পারায় এখন জ্বালানি সঙ্কটে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো বন্ধ রাখা হচ্ছে, যার প্রভাবে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ। কলকারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। গ্যাস বিদ্যুৎ সঙ্কটে বন্ধ হওয়ার পথে অনেক শিল্পকারখানা।
এ দিকে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী গতকাল এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, আমাদের রিজার্ভের যে অবস্থা, আমরা জানি না সামনে কী হবে। এলএনজি এখন আমরা আনছি না। ২৫ ডলার দাম ধরেও যদি এলএনজি আমদানি করতে যাই, চাহিদা মেটাতে অন্তত ছয় মাস কেনার মতো অবস্থা আছে কি না জানি না। আমাদের এখন সাশ্রয়ী হওয়া ছাড়া উপায় নেই। প্রয়োজনে দিনের বেলায় সবাইকে বিদ্যুৎ ব্যবহার বন্ধই করে দিতে হবে। গতকাল রোববার রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই) আয়োজিত ‘শিল্পে জ্বালানি সঙ্কটের ক্ষতিকর প্রভাব প্রশমন’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।