সিটি নির্বাচনকে সামনে রেখে সক্রিয় আন্ডারওয়ার্ল্ড
সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজধানীর আন্ডারওয়ার্ল্ড, পলাতক, সন্ত্রাসীদের তৎপরতা শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যেই দেশের বাইরে অবস্থানরত এবং পলাতক অনেক সন্ত্রাসী সম্ভাব্য প্রার্থীদের সাথে যোগাযোগ শুরু করেছে। এমনকি, জেলে বন্দী সন্ত্রাসীদেরও অনেকে অনুসারীদের ইতোমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছে তাদের পছন্দের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করতে। কোনো কোনো এলাকায় সন্ত্রাসীদের আনাগোনাও শুরু হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়।
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন। একাধিক সূত্র জানিয়েছে, রাজধানীতে যে সব সন্ত্রাসী রয়েছে তাদের সাথেই ইতোমধ্যে আন্ডারওয়ার্ল্ডের তালিকাধারীরা যোগাযোগ শুরু করেছে। পাশপাশি যে সব সন্ত্রাসী জেলখানায় রয়েছে এবং দেশে বা দেশের বাইরে পলাতক আছে তারাও যোগাযোগ শুরু করেছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের সাথে।
সূত্র জানায়, শীর্ষ সন্ত্রাসী খন্দকার তানভীরুল ইসলাম জয়, জিসান, সুব্রত বাইন, হারেস, মানিক, শাহাদাত, রাজু, খোরশেদ, প্রকাশ কুমার, বিকাশ, আশিক, মহি আলম মহিদ, বুদ্দিন, মোবারক, নিজাম, লেংরা শরিফ, গোপিবাগের গেদা সেলিম, মুকুল, বিষা, রানা, ইলিয়াস, নান্নু, কালু, আনোয়ার, ফারুক, শওকত, তপন, শাহাদাত, খোরশেদ, নাসির উদ্দিন ওরফে কানা নাসু, কামাল, আলমগীর, উজ্জ্বল, তুরান, সান্টু, রুবেল, সাগর, রানা, আলী রেজা খান, অয়ন, ইমরান, হৃদয়, মো: আলমগীর হোসেন, তাপু, ডাকাত সাগর, কালা মামুদ, প্রিন্স মোহম্মদ, রাজু, সুন্দর শরিফসহ অনেক সন্ত্রাসীই এই নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে অনেক প্রার্থীর হয়ে কাজ শুরু করেছে। জেলে যেসব সন্ত্রাসী বন্দী আছে তাদের মধ্যে আরমান, ইব্রাহিমসহ অনেকেই ইতোমধ্যেই বন্দী থেকেও সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়। তাদের সহযোগীরা বিভিন্ন প্রার্থীর পক্ষে ইতোমধ্যেই মহড়া শুরু করেছে।
ঢাকা দক্ষিণের একটি বিশাল এলাকা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব নিয়েছেন, গলা কাটা নসির। তিনি ইতালিতে অবস্থান করে তার সহযোগী গ্যাদা সেলিম (গোপিবাগ আমতলার) ও তার ভাই নাজিমকে দায়িত্ব দিয়েছে তাদের পছন্দের কাউন্সিলরের পক্ষে সব ধরণের পদক্ষে নেয়ার। তাদের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী রানা,জনসহ বেশকিছু সন্ত্রাসী রাতের আধারে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য হুমকি ধমকি দিচ্ছে।
ডিসি মাসুদুর রহমান বলেছেন, পরিস্থিতি অনুযায়ী সব ব্যবস্থা নেয়া হবে। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে যা যা দরকার সবই করবে পুলিশ।