বাংলাদেশে জিনিসপত্রের দাম সারা বিশ্বের তুলনায় তেমন বাড়েনি: বাণিজ্যমন্ত্রী
দুঃসময় কেটে না যাওয়া পর্যন্ত মানুষকে সহ্য করার আহবান জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বৈশ্বিক পরিস্থিতির তুলনায় বাংলাদেশে জিনিসপত্রের দাম যে খুব বেড়েছে তা নয়, তবে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি। সেকারণে কষ্ট হচ্ছে মানুষের। তেলের কমানো দামের প্রভাব বাজারে না পরার বিষয়টি ভোক্তা অধিকার মনিটরিং করছে। পাশাপাশি আগামী বছরে বিশ্ব মন্দা পরিস্থিতি মোকাবেলায় যেন খাদ্যের কোনো সঙ্কট না হয় সেই লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে বলেও মন্তব্য করেন বাণিজ্য মন্ত্রী।
শুক্রবার (২১ অক্টোবর) সকালে রংপুর সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে সৈয়দপুর বিমানবন্দর থেকে রংপুর সার্কিট হাউজে পৌঁছালে সেখানে তাকে শ্লোগানের সাথে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান নেতাকর্মীরা। জেলা প্রশাসনের পক্ষে শুভেচ্ছা জানান ডিসি আসিব আহসান। সেখানেই গার্ড অব অনার দেয় পুলিশ। পরে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, বৈশ্বিক পরিস্থিতির তুলনায় বাংলাদেশে জিনিসপত্রের দাম সেভাবে বাড়েনি। তবে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি, মানুষের কষ্ট হচ্ছে। জিনিসপত্রের দাম তো গ্লোবালি বেড়েছে। ডলারের দাম বেড়েছে যার প্রভাব টাকায় পড়েছে। তবে আমরা যদি বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আনি, তাহলে আমাদের জিনিসপত্রের দাম যে খুব বেশি তা নয়, তবে স্বাভাবিকভাবে যেটা থাকার কথা ছিল সেটা থেকে বেড়েছে। কারণ বৈশ্বিক সমস্যা। মানুষের খুব কষ্ট হচ্ছে। আমার সাজেশনটা হচ্ছে যে, এটা বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে, ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের কারণে এই অবস্থা তৈরি হয়েছে। এটা সহ্য করতে হবে। আশা করি দুঃসময় কেটে যাবে আমাদের।