‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ উপলক্ষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিম্নোক্ত বাণী —
“ক্ষমতাকে চিরকাল কুক্ষিগত করার অসৎ উদ্দেশ্যে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারী একদলীয় শাসনব্যবস্থা বাকশাল গঠন করে গণতন্ত্রকে হত্যা করে। একটি মাত্র দল বাকশাল ছাড়া অন্য সকল দল এবং সরকার অনুগত ৪টি সংবাদপত্র ছাড়া সকল সংবাদপত্র বন্ধ করে দেয়া হয়। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বহুদলীয় গণতন্ত্র ও মানুষের বাক-ব্যক্তিস্বাধীনতাকে গলাটিপে হত্যা করা হয়। শুধু তাই নয়, সভা-সমাবেশ এবং মানুষের মৌলিক অধিকারের ওপর হস্তক্ষেপ করে তারা বাকস্বাধীনতা ও মানুষের মৌলিক অধিকার খর্ব করে মূলতঃ মানবাধিকারকেই পদদলিত করেছে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী ভোটারবিহীন নির্বাচন এবং ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরে ভুয়া ভোটের নির্বাচনে মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে এখন দেশে দ্বিতীয় বাকশালী রাজত্ব কায়েম করেছে। ৩০ ডিসেম্বরের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুপরিকল্পিতভাবে মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিবে বলেই আগেভাগে আওয়ামী সরকার দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাবন্দী করে। এই অসহনীয় দু:শাসনের অবসান ঘটাতে দেশের আপামর জনসাধারণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি সবসময় জনগণের মৌলিক অধিকার, বাকস্বাধীনতা, সংবাদপত্র ও গণমাধ্যমের কথা বলার অধিকার প্রতিষ্ঠায় দৃঢ় অঙ্গিকারাবদ্ধ। তাই দেশ ও জাতির স্বার্থে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল জনগণকে সাথে নিয়ে দুর্বার গণআন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের বিজয় নিশ্চিত করতে হবে।
আল্লাহ হাফেজ, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।”