ঐতিহাসিক গণঅভ্যূত্থান দিবস উপলক্ষে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বাণী
“ঐতিহাসিক গণঅভ্যূত্থান দিবস উপলক্ষে আমি ঊনসত্তরের গণআন্দোলনসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আত্মদানকারী শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। তাঁদের রুহের মাগফিরাত কামনা করি।
২৪ জানুয়ারি আমাদের জাতীয় ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন। দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পর ১৯৬৯ সালের এ দিনে তদানীন্তণ পাকিস্তানী ঔপনিবেশিক দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতা দৃঢ় প্রতিরোধ গড়ে তোলে। গণআন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করে তা গণঅভ্যূত্থানে পরিণত হয়েছিল। পতন নিশ্চিত হয়েছিলো সামরিক স্বৈরশাসকের। আর এরই ধারাবাহিকতায় প্রশস্ত হয়েছিলো আমাদের স্বাধীনতা অর্জনের পথ। গণঅভ্যূত্থানের মূল লক্ষ্যই ছিল স্বৈরতন্ত্র থেকে গণতন্ত্রে প্রত্যাবর্তন, বহুদলীয় রাজনৈতিক কার্যক্রম, বহুমত এবং চিন্তার চর্চা ও মানুষের নাগরিক স্বাধীনতা ফিরে পাওয়া।
আমাদের জাতীয় জীবনে ঊনসত্তরের গণঅভ্যূত্থানের তাৎপর্য অপরিসীম। এ দিবস আমাদের গণতন্ত্র ও স্বাধীকার অর্জনের চেতনাকে শাণিত করে এবং সকল অন্যায় অবিচার ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হতে আজও অনুপ্রেরণা জোগায়। কারন এখন আবারও একদলীয় স্বেচ্ছাচারী শাসন কায়েম করা হয়েছে, গণতন্ত্রকে হত্যা করে বাক, ব্যক্তি ও চিন্তার স্বাধীনতা এখন গুম করে ফেলা হয়েছে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী এবং ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একতরফা ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে ভোট দিয়ে ভোটারদের নিজের পছন্দমতো প্রতিনিধি বাছাই করার অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে।
সুতরাং আজকের এ মহান দিনে আমি স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র এবং মানুষের মৌলিক ও মানবাধিকার নিশ্চিত করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহবান জানাই।
আল্লাহ হাফেজ, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।”