সীমান্তের ওপার থেকে ছোড়া প্রতিটি গুলির হিসাব বিজিবির কাছে আছে: মহাপরিচালক
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম, কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে দু’মাস ধরে দেশটির সেনাবাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছে।
সীমানা পেরিয়ে ওপারের ছোড়া মর্টারশেল, গোলাবারুদ এপারে এসে পড়েছে। এছাড়া হেলিকপ্টারও এপারে সীমানা লঙ্ঘন করেছে কয়েকবার। সোমবার (১০ অক্টোবর) সকালেও মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ঢেউবুনিয়া এলাকা থেকে ভারী অস্ত্রের ফায়ারের শব্দে কেঁপে ওঠে তুমব্রু এলাকা।
এদিকে সকালে ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্ত পরিদর্শন করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ। পরে দুপুরে রেজুপাড়া বিওপিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে সীমান্তে বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে জানিয়ে মহাপরিচালক বলেন, সীমান্তের ওপার থেকে ছোড়া প্রতিটি গুলির হিসাব বিজিবির কাছে আছে। মর্টারশেল নিক্ষেপ, আকাশ সীমা অতিক্রমসহ প্রত্যেক ঘটনায় তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। তারা কূটনীতিকভাবে উত্তরও পাঠিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ নিয়ে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সঙ্গে পতাকা বৈঠকের চেষ্টা চলছে। এরই মধ্যে যোগাযোগ হয়েছে। শিগগির ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।