যে পিনুর জন্য দেশের ৭৫% জন সমষ্টির শেষ ‘আশার আলো’, কে এই পিনু?
ধন ধান্য পুষ্পে ভরা আমাদের এই বসুন্ধরা তাহার মাঝে আছে দে শ্যেম সকল দেশের সেরা…
একজন দেশ প্রেমিককে এই গানটুকু কত খানি নাড়া দিতে পারে তা আমি কোন ভাবেই বলে বোঝাতে পারবো না। এই অনুভূতিকেই বলে নাড়ীর টান বা মায়ের ভালোবাসার মত করে দেশ প্রেম। এই গানটি শুনলে আমি আবেগ প্রবণ হয়ে যাই হারিয়ে যায় আমার মন বাংলার পথে ঘাটে। নিজের অজান্তেই কখন যে চোখ অশ্রুতে পরিপূর্ণ হয়ে যায় তা বলতে পারি না। আমি রাকেশ রহমান আমার অনেক লেখায় দেশ প্রেমের কথা লিখেছি এবং বাস্তবে অনেকের সাথেই দেশ প্রেম, দেশ, জাতি, উন্নতি, রাজনীতির কথা বলি পরাক্ষনেই যারা অরাজনৈতিক তারা বলে ‘ কি লাভ দেশের কথা বলে ?’
আমাকে দেশ ও দেশের মানুষের সম্পর্কে বিরূপ ধারণা দেয় আর বলে “আপনি দেশ থেকে বাহিরে আছেন দেশ সম্পর্কে কম জানেন, দেশের মানুষ সম্পর্কে জানেন না তারা অনেক খারাপ কি হবে তাদের নিয়ে চিন্তা করে বাদ দেন। আর কাদের জন্য দেশ প্রেমের রাজনীতি করবেন তারা কি শুনবে আপনার কথা ? যারা রাজনৈতিক দলের শীর্ষে রয়েছে তারা ভাল লোক নয়।” আবার রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলতে গেলে তাদের ভিতরে আমি দেখতে পাই আরেক জিনিস সেটা হচ্ছে কার সাথে কোন বড় নেতার সম্পর্ক, কোন নেতা রেখে কোন নেতা ধরলে ভবিষ্যতে দেশে লাভজনক ব্যবসা চালু করতে পারবে ইত্যাদি ইত্যাদি তাদের নিজ কেন্দ্রিক চিন্তা ভাবনা। আর দেশের সাধারন মানুষের সাথে কথা বললে মনে হয় এখনও তারা কিসের যেন এক অপেক্ষায় আছে। এই দুই ধরনের মন মানসিকতা মানুষের সমন্বয়েই কি আমাদের বাংলাদেশ ?
না , অবশ্যই নয়। এরা শতকরা ২৫%। আর বাঁকি ৭৫% জনগণ স্বপ্ন দেখে নতুন দিনের, নতুন সূর্যের , পরিবর্তিত রাজনীতির। স্বপ্ন দেখে নিজের জন্য নয় বরং মানুষের জন্য হবে রাজনীতি, সেই রাজনীতির মূলে অবশ্যই থাকবে না ক্ষমতায়ন। আসবে আসবে আসবেই সেই দিন যেই দিন আর বেশি দূরে নয়। এর প্রধান কারন বাংলাদেশের মানুষ ভীতু নয়, তারা সময়ের প্রয়োজনে অস্ত্র হাতে নিয়ে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে জানে। যেই প্রতিবাদের প্রমাণ ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ আর খালি হাতে প্রতিবাদ করে জীবন দিয়ে ফিরিয়ে এনেছিল ১৯৯০ সালে গণতন্ত্র।
আজ দেশ ও জাতি চরম দুর্ভোগের ভিতর বসবাস করছে ঠিক যেন পরাধীনতার জীবন রাজনৈতিক , অরাজনৈতিক , সামাজিক ইত্যাদি সব দিক থেকে চরম দূরঅবস্থায় আছে জাতি। একটি কথা চরম ভাবে সত্যি যে খারাপ সময় বেশি দিন থাকে না আবার খারাপ মানুষ বেশি দিন টিকে থাকতেও পারে না। ভালো সময় যেমন আসবে ঠিক তেমনই খারাপ , কুখ্যাত ব্যাক্তি বর্গদ্বয়ও ধ্বংস হয়ে যাবে, যেতেই হবে। মিথ্যা প্রচার, আবেগ দিয়ে সব সময় টিকে থাকা যায় না। হলুদ মিডিয়া সত্য প্রকাশ না করলেও আধুনিক যুগের কারণে যে কেউ তার মোবাইল থেকে সত্যি ও আসল ঘটনার ছবি তুলে সহজেই ছেড়ে দিচ্ছে ইউটুব , টুইটের, ফেসবুক ইত্যাদি সোশ্যাল মিডিয়াতে ফলে খবর প্রকাশ না করতে চাইলেও তা বের হয়ে আসছে দেশ ও জাতির সামনে। যেমন ২০১৪ সালে বাংলাদেশের উপজেলা নির্বাচনের আসল ঘটনা চাপা থাকেনি।
সুতরাং আজ কোন সত্যই চাপা থাকছে না। বর্তমানে রাজনীতি আমাদের দেশে একটি ব্যবসার উপকরণ হিসেবে ব্যবহিত হচ্ছে। রাজনৈতিক দলের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে অসাধু ব্যবসায়ীরা প্রচুর পরিমাণে অর্থ কামিয়ে নিয়ে যাচ্ছে দেশের মানুষের রক্ত চুষে। তাই রক্ত চুষার এই নিজের প্রতি প্রেমের রাজনীতি বন্ধ করে দেশপ্রেমের রাজনীতি করার জন্য সবাইকে ব্যাকুল আবেদন জানাচ্ছি।
আমি রাকেশ রহমান পুরান ঢাকার ছেলে আমি দেশে থাকতে সাধু, অসাধু সব সমাজের সাথেই মিশেছি দেখেছি এবং দিন আনে দিন খায় এই শ্রেণীর মানুষের কষ্ট দেখেছি আরো দেখেছি মধ্যবিত্ত ও সমাজের উচ্চবিত্ত শ্রেণীর মানুষের জীবনও। আমি বাংলাদেশের সর্বচ্চ পদ তথা কোন এক দলের সভানেত্রীর জীবন যাত্রাও দেখেছি খুব কাছ থেকে এবং তার পরিবারের সবাইকে খুব ভাল ভাবেই চিনি ও জানি। যেই পরিবারের সাথে অসংখ্য সময় পার করেছি সেই পরিবার সম্পর্কে আমার থেকে ভালো তো বাহির থেকে দেখা লোক বলতে পারবে না এতাই স্বাভাবিক। জীবনে ক্ষমতাকে দেখেছি, পেয়েছি অনেকবার খুব কাছ থেকে ইচ্ছে করলেই ব্যবহার করতে পারতাম নিজের সুবিধার্থে তা তো কখনই করি নি বরং অন্যায়ের প্রতিবাদ করে গিয়েছি এবং করে যাচ্ছি দেশে বিদেশে সর্বত্র সব সময়। এজন্য নিজেকে পড়তে হয়েছে ও হচ্ছে বহুবার বিপদেও। দেশের সাথে কোন অন্যায় আমি করবো না এবং করতেও দিবো না। তারপরেও দেশের স্বার্থে জাতির উন্নতির জন্য কাউকে না কাউকে আমাদের বেঁছে নিতে হবে, তার ভিতর থাকতে হবে দেশপ্রেম, থাকতে হবে দেশ নিয়ে চিন্তা ভাবনা, কে আছে এমন? যে আমার থেকেও বেশি দেশ কে ভালোবাসে , দেশ নিয়ে চিন্তা করে ? আমি কোন দলের নই একে বারে সাধারন একজন মানুষ, এই সাধারণ মানুষের চোখে এই গুন গুলো যার মাঝে দেখতে পাই, যে ছুটে বেড়িয়েছিল গ্রাম থেকে গ্রামান্তর, খোঁজ নিয়েছিল কোন জমিতে কি ধরনের ফসল ফলীয়ে লাভবান হওয়া যায়, কি ভাবে কম খরচে উন্নত চাষ দেওয়া যায় যেহেতু বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ, চিন্তা করেছিলো উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে, শিল্প নিয়ে এক কথায় দেশের উন্নতি নিয়ে যদিও বর্তমান সরকার তার চিন্তা পরিকল্পনা চুরি করে নিজেদের নাম দিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছে যেমন গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক আরও তারা করবে তাদের নামে। তিনি হচ্ছেন এমনই এক রাজনীতিবিদ যিনি ক্ষমতায়নে বিশ্বাসী নয় বরং জনগনের স্বার্থে দেশ ও জাতির উন্নয়নে পরিবর্তনশীল রাজনৈতিক দার্শনিক। তিনি হচ্ছেন ৭৫% জনগণের শেষ আশার আলো। তাঁর আর নেওয়ার কিছু নাই দেওয়ার ছাড়া কারন তিনি নিজেই চরম ভাবে নির্যাতিত। আল্লাহ্ অশেষ রহমতের কৃপায় আল্লাহ্ তাঁকে এই হায়াতটুকু দিয়েছেন শুধু মাত্র বাংলাদেশকে উন্নতির দ্বারে পৌঁছে দেওয়ার জন্য কারন তিনি ছাড়া বাংলাদেশের উন্নত হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। তিনিও বুঝতে পেরেছেন তাই গত রমজানে আল্লাহ্র ঘরে ছুটে গিয়েছিলেন এবং ইবাদতেই ব্যস্ত ছিলেন। তিনি আর কেউ নন তাঁর ডাক নাম পিনু। বলতে পারেন কে এই পিনু ? যার মাঝে রয়েছে অদৃশ্যের মাঝে দেশপ্রেম তিনি হচ্ছেন তারেক রহমান।
– রাকেশ রহমান (লেখক ও কলামিষ্ট)।