বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন চালাতে দলীয় ক্যাডার নামাচ্ছে আ.লীগ: গয়েশ্বর

0

আওয়ামী লীগ সরকার এখন আর পুলিশের উপর পুরোপুরি আস্থা রাখতে পারছে না। এ কারণে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন চালাতে দলীয় ক্যাডার নামাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

যশোরের বিভিন্ন জায়গায় বিএনপি নেতাকর্মী এবং কেন্দ্রীয় নেতা অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের ওপর দফায় দফায় হামলার ঘটনায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

সোমবার (২৯ আগষ্ট) বিকেলে যশোর জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, যশোরে পুলিশের উপস্থিতিতে অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের ক্যাডাররা। ওই সময় পুলিশ নির্বিকার দাঁড়িয়ে থেকে সহযোগিতা করেছে। সরকারের শেষ সময়ে অবস্থা খারাপ দেখে পুলিশসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা সরে যায়। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের অবস্থা তাই হচ্ছে।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, চলমান কর্মসূচি জনগণের জন্য। নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। বিএনপি দ্রব্যমূল্য কমানোর দাবিতে আন্দোলন করছে। মানুষ বিএনপির কর্মসূচিতে সাড়া দিচ্ছে। মানুষের জাগরণ দেখে সরকার আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। এ কারণে আন্দোলন বানচালের চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার।

তিনি বলেন, তরিকুল ইসলামের বাড়ি রাজনৈতিক তীর্থকেন্দ্র। সেই বাড়িতে হামলা আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক অধপতন ছাড়া আর কিছু না।

গয়েশ্বর বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেন এক আর করেন আরেক। তিনি বলেছিলেন বিএনপির কোনো কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হবে না। অথচ হামলা করে আহত করা হচ্ছে। মামলা দেয়া হচ্ছে। গ্রেফতার করা হচ্ছে। সারাদেশে গত ১০ দিনে এক হাজার মামলা করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে তিন হাজার নেতাকর্মীকে। চূড়ান্ত বিজয় না আসা পর্যন্ত রাজপথে থেকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, রাজপথে আওয়ামী লীগকে মোকাবেলা করতে হয় না, মোকাবেল করতে হয় পুলিশকে। জনগণের টাকায় যাদের বেতন হয়, তারাই এখন জনগণের ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু, নির্বাহী সদস্য আবুল হোসেন আজাদ, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম, সদস্য সচিব সাবেরুল হক সাবু, সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা মফিকুল হাসান তৃপ্তি, জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন, সদস্য মারুফুল ইসলাম ও খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com