যশোরে যুবলীগের নারকীয় তাণ্ডব: অমিতের গাড়ি-বাড়ি ভাংচুর
যশোর জেলা যুবলীগের একাংশের মিছিল থেকে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে ব্যাপক ভাংচুর করা হয়েছে। রোববার বিকাল পৌনে ৫টার দিকে জেলা যুবলীগের সহসভাপতি সৈয়দ মেহেদী হাসান ও সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বিপুলের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়।
মিছিলটি জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় হামলা চালানো হয়। এ সময় বিএনপি কার্যালয়ের ভিতরের চেয়ার টেবিল, ব্যানার ফেস্টুন ব্যাপক ভাংচুর করা হয়।
এর আগে শহরের দড়াটানায় সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য প্রয়াত তরিকুল ইসলামের ও বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের গাড়ি ভাংচুর করা হয়। পরে তার বাড়িতেও হামলা চালিয়ে ভাংচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
যুবলীগের নেতাকর্মীদের মহড়া ও মোড়ে মোড়ে পুলিশ মোতায়েন করায় বিকাল থেকে শহরজুড়ে থমথমে অবস্থার সৃষ্টি হয়। অপরদিকে শনিবার সদর উপজেলার রুপদিয়া বাজারে সহিংসতার ঘটনায় বিএনপির ৫৪ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ২৮ জনকে। রোববার তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু বলেন, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা নারকীয় তাণ্ডব চালিয়েছে। রাজনৈতিক দলের পবিত্র স্থান দলীয় কার্যালয়। সেটিও তাণ্ডব থেকে রক্ষা পায়নি। বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতকে হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে। তার গাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে। তাদের বাড়িতে হামলা করেছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। তাদের তাণ্ডবে আমরা কেউ নিরাপদ নয়। আওয়ামী লীগের জেলা পর্যায়ের অভিভাবকদের ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ। তারা আসলে কি চাইছেন। তারা অরাজকতার পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাইলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। তাদের ভূমিকায় আমরা হতবাক হয়েছি।