‘শিক্ষকদের বিরুদ্ধেও ফৌজদারি মামলা করা যাবে’

0

ঢাবির জহুরুল হক হলে শিবির সন্দেহে কয়েকজনকে সারারাত অমানুষিকভাবে পিটিয়েছে ছাত্রলীগ। এটি বেআইনী ও সশ্রম কারাদণ্ডযোগ্য কাজ। এটি যারা করেছে সেই ছাত্রলীগের ছেলেদের পুলিশে দেয়া হয়নি। হলের দায়িত্বে থাকা ঢাবি শিক্ষকরা পুলিশে দিয়েছে মার যারা খেয়েছে উল্টো তাদের।

উল্লেখ্য, শিবির করা বাংলাদেশের আইনে এখনো কোন অপরাধ নয়। বরং শিবির করে এ সন্দেহে কাউকে আটক, তল্লাশী, মারপিট সর্বোচ্চ ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডযোগ্য অপরাধ। কাউকে মেরে ফেলা মৃত্যুদণ্ডযোগ্য অপরাধ।

যাদের দায়িত্বহীনতা ও অবহেলার কারণে এসব নির্যাতন অবাধে করা যাচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয় হলগুলোর দায়িত্বে থাকা সেই শিক্ষকদের বিরুদ্ধেও  ফৌজদারী মামলা করা যাবে।

এ ধরনের মামলার কোন সময়সীমা নেই। মনেপ্রাণে তাই আশা করি, যারা অন্যায় মারের শিকার হচ্ছেন তারা শুধু নির্যাতকদের নয়, ঐসব শিক্ষকদের বিরুদ্ধেও একদিন মামলা করার সুযোগ পাবেন। ১০-২০ বছর পর হলেও।

(লেখক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক, লেখাটি তার ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া।)।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com