যত বিপদ আসুক সর্বাবস্থায় দ্বীনের বিজয়-সংগ্রামে অবিচল থাকতে হবে: জামায়াত
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হবে। মানুষের বিপদ ও কষ্টে পাশে দাঁড়াতে হবে। সেই সাথে পরকালে জাহান্নামের আগুন থেকে তাদের বাঁচানোর জন্য সৎকাজের আদেশ ও অসৎ কাজ থেকে বিরত রাখতে হবে। তাহলে মানবতার কল্যাণ সাধিত হবে এবং আমরা সর্বোত্তম উম্মার মর্যাদা লাভে সক্ষম হব, ইনশাআল্লাহ। জামায়াতের সকল জনশক্তিকে এ কাজ যথাযথভাবে আঞ্জাম দিতে হবে।’
জামায়াতের আমির বলেন, ইসলামী আন্দোলনের পথে যত বিপদ মুসিবত আসুক সর্বাবস্থায় দ্বীনের বিজয়-সংগ্রামে অবিচল থাকতে হবে। নবী-রাসূলদের উপর জুলুম নির্যাতন এসেছে। এ পথে তারা ধৈর্য ও সাহসিকতার সাথে কাজ করছেন। মানুষের কাছে দিনের দাওয়াত পৌঁছাতে হবে। নবীদের অবর্তমানে মুসলিম উম্মাহর উপর এ দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে। আজকের জাহেলি সমাজকে পরিবর্তন করতে প্রতিটি মানুষের কাছে ইসলামের পুর্ণাঙ্গ দাওয়াত দিতে হবে। এ জন্য ঘরে ঘরে যেতে হবে।
শুক্রবার সকালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ফরিদপুর অঞ্চলের উদ্যোগে স্থানীয় মিলনায়তনে দায়িত্বশীল সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নেকির কাজে পরস্পর প্রতিযোগিতা করতে হবে। তাই দায়িত্বশীলদেরকে যার যার এলাকায় সাংগঠনিক কাজ সম্প্রসারণ ও মজবুতি অর্জনে জান-মাল বাজি রেখে প্রতিযোগিতার মনোভাব নিয়ে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে। পুরুষদের পাশাপাশি নারীদেরও এ কাজে এগিয়ে আসতে হবে। সমাজের অর্ধেক নারী সমাজ। তাদেরকে বাদ দিয়ে ইসলামের বিজয় সম্ভব নয়। এজন্য আদর্শ পরিবার গঠন ও সমাজ গঠনে নারীদের সংগঠনে অন্তর্ভুক্ত করে তাদেরকে আদর্শ নারী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, ছাত্রসমাজ অতীতের সংগ্রাম আন্দোলন ও সমাজ পরিবর্তনে ঐতিহাসিক ভূমিকা রেখেছে। বর্তমান জাহেলি সমাজ পরিবর্তন করে ইসলামী সমাজ বিনির্মাণে ছাত্রদের মাঝে ব্যাপক দাওয়াতি কাজ করতে হবে এবং ছাত্র সংগঠন মজবুত করতে হবে। ছাত্ররাই আগামী দিনের সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনার নেতৃত্ব দিবে। তাই জাতির ভবিষ্যৎ নেতৃত্বকে আদর্শ, নৈতিকতা ও সততার আলোকে তৈরি করতে হবে। সৎ ও দক্ষ নেতৃত্বই বর্তমান সমাজকে পরিবর্তন করবে এবং সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে নিয়ামক ভূমিকা পালন করবে। আমাদেরকে ছাত্রদের অভিভাবকের ভূমিকা পালন করতে হবে।