রংপুরে মাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর ঘরের মেঝেতে পুঁতে রাখার অভিযোগ ছেলের বিরুদ্ধে

রংপুরে এক মাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর ঘরের মেঝেতে পুঁতে রাখার অভিযোগ উঠেছে ছেলের বিরুদ্ধে। এলাকাবাসী অভিযুক্ত ছেলে জামিলকে (২২) আটক করে পুলিশে দিয়েছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, টাকা পয়সা নিয়ে বিরোধের জেরে বড় ভাইয়ের নির্দেশে মাকে হত্যা করেছেন।

তবে আটকের সময় উপস্থিত অনেকেই বলেছেন, প্রথমে জিজ্ঞাসাবাদে মায়ের নামে তোলা কিস্তির টাকা পরিশোধ না করাতে বড় ভাই লোক পাঠিয়ে মাকে হত্যা করেছে বলে দাবি করেছিল আটক জামিল।

রংপুর জেলা পুলিশের সহকারি পুলিশ সুপার সি সার্কেল আশরাফুল আলম পলাশ জানান, কাউনিয়ার চর নাজিরদহ এলাকার লাল মিয়ার দ্বিতীয় স্ত্রী ষাটোর্ধ্ব জমিলা খাতুনের খোঁজ মিলছিল না গত শনিবার (২০ আগস্ট) থেকে। পরিচিত এক মহিলা মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় তাকে খুঁজতে গিয়ে দেখেন শোয়ার ঘরের মেঝে নতুনভাবে লেপানো। সন্দেহ হলে গ্রামের আরো কয়েকজনকে নিয়ে মাটি খুঁড়ে দেখতে পান, সেখানে পচে যাওয়া লাশ। এবং লাশটি জমিলা খাতুনের নিশ্চিত করে তারা। সাথে সাথে এলাকাবাসী ছেলে জামিলকে আটক করে। খবর দেয় পুলিশকে।

তিনি জানান, খবর পেয়ে সেখানে আামিসহ কাউনিয়া থানা পুলিশ ও সিআইডির টিম উপস্থিত হই। আলামত সংগ্রহ শেষে মঙ্গলবার দিবাগত রাত সোয়া ২টায় লাশ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। বুধবার রাত ২টায় প্রয়োজনীয় কাজ শেষে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এলাকাবাসী আরো জানান, এত বড় একটি ঘটনা ঘটলেও জামিলকে স্বাভাবিক দেখা গেছে গত পাঁচ দিন। যে ঘরে মাকে পুতে রাখা হয় সেই ঘরেই রান্না করে খেয়েছে। জামিল নেশা করার কারণে মাস তিনেক আগে তার স্ত্রী বাপের বাড়ি চলে গেছেন। ওই পাঁচ দিনেও জামিল ছাগল চড়ানো সহ সব কাজকর্ম করেছে। জামিল কিভাবে এতটা স্বাভাবিক ছিল এবং এ ঘটনায় অন্য কেউ জড়িত আছে কিনা, তা তদন্ত করে বের করার দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।