গাজীপুরে পোশাকশ্রমিককে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করলেন আ.লীগ নেতা
পোশাক শ্রমিককে অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানা আওয়ামী লীগের এক নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় রোববার (২১ আগস্ট) গাছা থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী কিশোরীর মা।
ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত শহিদুজ্জামান সুমন (৪০) সস্ত্রীক পলাতক। তিনি স্থানীয় কুনিয়া তারগাছ এলাকার মৃত আসকর আলী বিএসসির ছেলে এবং ৩৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।
মামলা সূত্রে জানা যায়, মহানগরীর ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের কুনিয়া তারগাছ এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতা সুমনের ভবনে অবস্থিত দরাজ গার্মেন্ট কারখানায় ওই কিশোরী চাকরি করতো। সুযোগ পেলেই ভবন মালিক সুমন মেয়েটিকে উত্ত্যক্ত করতেন এবং বিয়ের প্রস্তাব দিতেন। বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় মেয়েটিকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও এলাকা ছাড়া করারও হুমকি দেন তিনি। এতে মেয়েটি ভয়ে চাকরি ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
গত ৩ আগস্ট মেয়েটি কর্মস্থল থেকে বাসায় না ফেরায় তার মা ওইদিন সন্ধ্যা ৭টায় কারখানায় সন্ধান নিতে যান। এ সময় মেয়েটির সহকর্মীরা জানান, ভবন মালিক সুমন তাকে কারখানা থেকে জোর করে নিয়ে গেছেন। এরপর থেকে ১৮ দিনেও মেলেনি ওই পোশাক শ্রমিকের সন্ধান।
মেয়েটির মা সুমনের বাড়িতে গিয়ে তার স্ত্রী সালমাকে ঘটনাটি জানান। তখন সালমা বলেন, ‘যা হয়েছে তা ভুলে যান। ৫০ হাজার টাকা দিই নিয়ে যান।’ এ সময় তিনি মেয়ের সন্ধান চাইলে সালমা বলেন, ‘খোঁজাখুঁজি করে কোনো লাভ নেই। সুমন সময়মতোই তাকে নিয়ে হাজির হবেন।’
কিশোরীর মায়ের অভিযোগ, ৩ আগস্ট সকালে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে তার মেয়েকে ধর্ষণ করেন আওয়ামী লীগ নেতা সুমন। এরপর থেকে তিনিসহ (অভিযুক্ত) তার মেয়ের সন্ধান নেই।