এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে যাওয়া নিখোঁজ সুকন্যাকে ফেরত চায় পরিবার
সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ থেকে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে যাওয়া নিখোঁজ ইয়াশা মৃধা সুকন্যাকে জীবিত ফিরে পেতে চায় তার পরিবার। মামলার তদন্তের অগ্রগতি না দেখে হতাশা ব্যক্ত করেন নিখোঁজ ইয়াশার মা নাজমা ইসলাম লাকী। বিচার না পেলেও শুধু মেয়েকে জীবিত ফেরত চান তিনি।
শনিবার (২০ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে নিখোঁজ ইয়াশার মা নাজমা ইসলাম লাকী বলেন, আমি মেয়ের সন্ধান চাই। আমাকে নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। আমার মেয়ের নাকি মানসিক সমস্যা। আবার ফোনে ম্যাসেজ আসে আমার মেয়েকে নাকি মিরপুর ১ কখনও মিরপুর ১০ এ কখনও মিরপুর ১৪ তে নাকি দেখা গেছে। আমরা সেখানে গিয়ে খোঁজ পাইনি। সংশ্লিষ্ট থানা থেকেও বলছে এই ধরনের মেয়ে এলাকায় ঘুরতে দেখা যায়নি।
তিনি বলেন, আমি আমার মেয়েকে জীবিত অবস্থায় শুধু ফিরে পেতে চাই। কোনও বিচার চাই না, কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে চাই না।
এর আগে লিখিত বক্তব্যে নাজমা ইসলাম লাকী বলেন, আমার স্বামী লন্ডন প্রবাসী জুনায়েদ জাহাঙ্গীর। ঢাকায় স্বামীর পরিবারের সঙ্গে বসবাস করছি। আমাদের একমাত্র মেয়ে ইয়াশা মৃধা সুকন্যা চলতি বছর সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। গত ২৩ জুন আমার মেয়েকে মডেল টেস্ট পরীক্ষা দিতে কলেজে নিয়ে যাই। বেলা সাড়ে ১২ টায় মেয়ে কলেজে প্রবেশ করে। বরাবরের মতো আমি কলেজের বাইরে অভিভাবকদের বসার কক্ষে অপেক্ষা করি। পরীক্ষা শেষ হবার কথা বেলা ৩টায়। সব ছাত্রীরা যখন পরীক্ষার হল থেকে বের হয়ে আসে আমার মেয়ে বের হয়নি। মেয়ের বান্ধবীদের কাছে জানতে চাইলে তারা কিছু বলতে না পারায় আমি বেলা ৪ টায় কলেজ কর্তৃপক্ষর কাছে জানতে চাইলে তারা জানায় আমার মেয়ে সেদিন পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিল। অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও আমার মেয়েকে পাইনি। আমার মেয়ের মোবাইল আমার কাছে দিয়ে পরীক্ষা দিতে গিয়েছিল।
তিনি বলেন, সুকন্যাকে না পেয়ে আমি তার ফোন চেক করতে থাকি। সেখান থেকে ইশতিয়াক নামের একটা ছেলের সঙ্গে কথোপকথন দেখতে পাই। পরে রমনা মডেল থানায় গিয়ে বিষয়টি পুলিশকে জানাই এবং একটি মামলা দায়ের করি।
পুলিশ তদন্তে সহযোগিতা করছে না অভিযোগ করে তিনি বলেন, পুলিশ আমাদেরকে পাঁচ দিন থানায় শুধু বসিয়ে রেখেছে। আর বলেছে, তদন্ত করছি আপনারা বসে থাকেন। ইশতিয়াক কেন্দ্রীয় কারাগারে আছে। তার বন্ধু সালমান ৭ জুলাই জামিন পায়।