যাদের আপন মনে করতাম তারা আপন ছিল না: ঢালিউড সুপারস্টার
দীর্ঘ নয় মাস পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরছেন ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খান। গত বছরের নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে যান ঢাকাই সিনেমার এই শীর্ষ নায়ক।
একটি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার জন্য গেলেও পরে জানা যায় তিনি গ্রিন কার্ডের জন্যও আবেদন করবেন।
আর সে জন্য যুক্তরাষ্ট্রে টানা ছয় মাস থাকতে হবে তাকে। কিন্তু ছয় মাসের জায়গায় নয় মাস থাকার পর সোমবার (১৬ আগস্ট) সকালে নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি বিমাববন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা দিয়েছেন তিনি।
সেখান থেকে তোলা একটি ছবি সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে শেয়ার করেছেন ঢালিউড ভাইজান। সেই সঙ্গে নিজের জীবনের কিছু উপলব্ধির কথা তুলে ধরেছেন এর ক্যাপশনে।
যেখানে শাকিব খান লেখেন, ‘জীবন যখনই আমাকে কোনো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি করেছে, অথবা নিজেই যখন নিজেকে দিয়েছি ভেঙে গড়ার চ্যালেঞ্জ- উপরওয়ালার রহমতে এবং আমার লাখো-কোটি ভক্তের ভালোবাসায় সবসময় আমি জয়ী হয়েছি। যুক্তরাষ্ট্রে বিগত নয়টা মাসও আমার জীবনে ছিল একটি চ্যালেঞ্জের মতোই এবং আবারও আমি আপনাদের ভালোবাসায় তা সফলভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছি। ’
এই নয়টা মাস অদৃশ্য শেকলে বাঁধা পড়ে থাকা জীবনের মতো উল্লেখ করে এই নায়ক লেখেন, ‘তবে এই নয়টা মাস ছিল অনেকটা অদৃশ্য শেকলে বাঁধা পড়ে থাকা জীবনের মতো। খেয়াল করেছি, মহান ব্যক্তিরা যখন বড় কিছু করেন, তার আগে এমন বিচ্ছিন্ন থাকেন! তারা যখনই নতুন উপলব্ধি নিয়ে আবার শুরু করেন তখনই তাদের সকাল। ’
যুক্তরাষ্ট্রে অনেকের সাপোর্ট পেয়েছেন, আর যাদের আপন ভাবতেন তারা আপন ছিল না- এমন উপলব্ধিও তুলে ধরেন শাকিব। তিনি লেখেন, ‘দূরদেশে এই সময়ে অনেককে পেয়েছি, যারা আমাকে তাদের পরিবারের মানুষ ভেবে আপন করে নিয়েছে, সাপোর্ট দিয়েছে মানসিকভাবে। অন্যদিকে এও বুঝেছি, যাদের এতদিন আপন মনে করতাম তারা কেউ কেউ সত্যিকার অর্থে আমার আপন ছিল না। এর মাঝেও আমার এগিয়ে চলার এই জীবনে অন্ধের মতো সবচেয়ে বড় সাপোর্ট ছিল, দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে থাকা লাখো-কোটি ভক্ত-অনুসারী— যারা সবসময় আমার পাশে থেকেছে, নিস্বার্থভাবে ভালোবেসেছে। ’
দীর্ঘ সময় যুক্তরাষ্ট্রে থেকে নিজের মধ্যে পরিবর্তন অনুভব করছেন শাকিব। এ নিয়ে এই অভিনেতা লেখেন, ‘কেন জানি মনে হয় নিজের জীবন-দর্শন, বাস্তবতা ও সবকিছুকে নতুন করে চেনা-জানা এবং বোঝার জন্য আমার এই পরিবর্তন ভীষণ প্রয়োজন ছিল। এ সময়ে খুব কাছ থেকে নিজের জীবনের সবকিছু নতুন করে কল্পনায় এঁকেছি, যেমনটা সিনেমায় করে থাকি। এ সময়টা আমায় পৃথিবী ও নিজের সম্পর্কে নতুন করে ভাবতে সাহায্য করেছে। আজ ফিরছি প্রিয় মাতৃভূমিতে। বেঁচে থাকলে আগামী দিনগুলো আরও সুন্দর হবে ইনশাআল্লাহ। ’