সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন না থাকায় ইভিএমের উপর মানুষের অনাস্থা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে, -জোনায়েদ সাকি
গণসংহতি আন্দালনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, ইভিএম নির্বাচন কমিশনের এক বিষয় হতে পারে না। নির্বাচন কমিশন কারো সাথে কোনো আলোচনা না করেই কার্যরত সরকারের ইন্ধনে সরাসরিভাবে ইভিএমে চলে গেছেন। তার কারণ ইভিএমের মাধ্যমে ডিজিটাল ভোট ডাকাতি সম্ভব।
মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) রাতে ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের ‘ আজকের বাংলাদেশ’ টক শোতে ‘ইভিএম নাকি ব্যালট’ শীর্ষক আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
সাকি বলেন, ইভিএমের দূর নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব এবং নানান ধরনের আশঙ্কা রয়েছে বলে পৃথিবীর গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলোতে ইভিএমের ব্যবহার পরিত্যক্ত করছেন। ইউরোপের দেশগুলোতে নির্বাচন কমিশন নিয়ে অনাস্থা নাই তারপরেও তারা এটা পরিত্যক্ত করছেন।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ থাকলেও অন্যান্যরা এটা হ্যাক করতে পারে কিংবা কারসাজিও করতে পারে। অথচ আমরা পরিত্যক্ত টেকনোলজি গ্রহণ করতে যাচ্ছি যেখানে নির্বাচনের ব্যালট বাক্সেই আমাদের আস্থার জায়গা নাই।
সরকারের উপর আস্থার বিষয়ের কথা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, সরকারের উপর আস্তা থাকলেই ইভিএমে ভোট দিতে মানুষের আস্থা তৈরি হতো। মানুষ গত বছর জাতীয় নির্বাচনের ভোটের মাধ্যমেই এটা প্রমাণ পেয়েছেন। তখন যেটা হয়েছিলো ইতিহাসে এটা একটি নতুন অধ্যায় হিসেবে জনগণের কাছে থাকবে।
এসময় সাকি নির্বাচন কমিশনের উপর আশঙ্কা নিয়ে বলেন, নির্বাচনের জন্য যে আস্থার জায়গাটা তৈরি করার প্রয়োজন ছিলো সেটা নির্বাচন কমিশন পারেন নাই। প্রচার-প্রচারণা থাকলেও শেষ পর্যন্ত মানুষ ভোট দিতে পারবে কিনা এটা বড় আশঙ্কা।
ভোট বর্জন প্রসঙ্গে জোনায়েদ বলেন, বিএনপি কেনো নির্বাচনে গেছে সেটা তারা জবাব দেবে। আমার ভোট বর্জন করেছি। ইভিএমের উপর মানুষের অনাস্থা আরো বেশি বাড়িয়ে দিয়েছে। দেশে নির্বাচনের বাস্তব কোনো পরিবেশ নাই। কারণ, বর্তমান সরকার সঠিক নির্বাচনের আয়োজন করতে সক্ষম নয়। তাদের এখন একটাই চিন্তা ক্ষমতায় যে কোনো পরিস্থিতি থাকতেই হবে যেটা আমরা বিগত নির্বাচনের মাধ্যমে দেখেছি