সন্তানের ভবিষ্যত চিন্তা করে বাবা-মার ঝগড়া পরিহার করা উচিত
সন্তানের ভবিষ্যতের কথা ভেবে স্বামী-স্ত্রী’তে ঝগড়াঝাটি, ডিভোর্স, সেপারেশন পরিহার করে চলা উচিত। কারণ, সন্তানের জন্য মা-বাবা উভয়কেই প্রয়োজন।
আপনি যদি ভেবে থাকেন, আপনার টাকা-পয়সা আত্মীয়-স্বজনের অভাব নেই। আপনি একাই চলতে পারবেন। হ্যাঁ, সেটা হয়তো সম্ভব হবে তবে তা আপনার একার জন্যে। কিন্তু তা কোনোভাবেই সম্ভব নয় আপনার সন্তানের জন্য। কারণ সন্তানের জন্য মা, বাবা-বা উভয়ের বিকল্প কখনোই টাকা পয়সা হতে পারে না।
আর যদি দৈবাৎ কখনো ডিভোর্স বা সেপারেশন অবশ্যম্ভাবী হয়ে যায় তবে অবশ্যই দুজনেরই সন্তানকে কোয়ালিটি টাইম দেবার শর্তে হতে হবে। আর পৃথিবীর কোন ধর্ম বা আইন সেটার কোন প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে না।
প্রিন্সেস ডায়না যখন মারা যান তখন প্রিন্স হ্যারির বয়স মাত্র বারো বছর। ডায়ানার শেষকৃত্য সারা বিশ্ববাসী সরাসরি দেখেছে দেখেছে বালক প্রিন্স হ্যারির বারবার ফুপিয়ে কেঁদে উঠা। যদিও রাজ পরিবার থেকে তাকে বলা হয়েছিল না কাঁদতে।
হাসি ঠেকানো যায় কিন্তু কান্না ঠেকানো যায় না। আর মাকে হারানোর কান্না আটকানো..? প্রশ্নই আসে না! পৃথিবীর কোনো শক্তি মা’ হারানোর কান্না থামাতে পারে না।
মা’কে হারানোর বেদনা মানুষ সারা জীবন বয়ে বেড়ায়। তাইতো এতো বছর আজো প্রিন্স হ্যারি বলেন, ‘আমি বারো বছর বয়সে মা’কে হারাই। তারপর থেকে গত বিশটি বছর আমার সকল আবেগ অনুভূতি স্তব্ধ হয়ে গেছে। মা’কে হারানোর বেদনা আমার ব্যক্তিগত জীবনে ও কর্মক্ষেত্রে মারাত্মক প্রভাব ফেলছে’।
বর্তমান বিশ্বে প্রিন্স চার্লস ও প্রিন্স হ্যারী মেন্টাল হেলথ নিয়ে কাজ করা সব চেয়ে বড় হাই প্রোফাইল ব্যক্তিত্ব।
লেখক: ডা. সাঈদ এনাম