আওয়ামী লীগ জনকল্যাণে নয়, লুটপাটে ব্যস্ত: গয়েশ্বর

0
আওয়মী লীগ সরকার কখনো জনগণের ভালো চয়না। তারা মেঘা প্রকল্পের নামে দুর্নীতি করে জনগণের সম্পদ লুটপাট করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, ‘সরকার জনগণের ভালো চায়না। তাই তো বন্যায় হাওড়বাসীর পাশে তারা নেই। বৃহত্তর সিলেট পানিতে ডুবছে আর সরকার নাচ গান করে জনগণের সাথে তামাশা করছে। আওয়ামী লীগ জনগণের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এই ব্যর্থ সরকারকে ক্ষমতার মসনদ থেকে বিতাড়িত করতে হবে।’
সোমবার (৪ জুলাই) সকালে সাবেক মন্ত্রী মরহুম রিয়ার এডমিরাল (অব.) মাহবুব আলী খানের কন্যা ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমান এর সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমানের পক্ষ থেকে সিলেট জেলা বিএনপি তত্বাবধানে ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির ব্যবস্থাপনায় উপজেলার এক হাজার বন্যার্ত মানুষের মাঝে খাদ্য সহায়তা বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ডা. জুবাইদা রহমান ঐতিহ্যবাহী পরিবারের সন্তান। উনার পূর্ব পুরুষরা যেভাবে দেশের মাটি ও মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন সেই ধারাবাহিকতায় তিনিও দেশবাসীর যেকোন দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়ান। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই স্বৈরাচারী সরকার উনার নামেও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছে। যা একটি স্বাধীন দেশের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক। দেশের জনগণ একদিন এর দাঁতভাঙা জবাব দেবে।
তিনি বলেন, মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য। কিন্তু এই আওয়ামী লীগ সরকার হচ্ছে লুটপাট, ধর্ষণকারী, মুদ্রাপাচার নারী ও শিশু পাচারকারীদের জন্য। মানুষ মানুষের জন্য এই কথা বিশ্বাস করে বলেই ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি।
তিনি বলেন, আমরা গত ১২ বছর ধরে সরকারের মামলা, হামলার শিকার, পুলিশের পয়সা (ঘুষ) জোগাড় করতে করতে নিঃস্ব হয়ে গেছি। আপনারা পানিবন্দি আর আমার আপনার নেত্রী গৃহবন্দি। আমাদের নেতা তারেক রহমান যুক্তরাজ্যে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তারপরও সেখান থেকে দেশের মানুষের কল্যানের কথা ভাবছেন, দেশের জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার কথা ভাবছেন, গণতন্ত্র ফেরাতে কাজ করছেন।
গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে হলে আন্দোলনের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেন গয়েশ্বর। তিনি বলেন, আমরা যদি আমাদের নেতা তারেক রহমানকে নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনতে চাই, তাহলে আমাদের আন্দোলন করতে হবে। আমি বিশ্বাস করি, তিনি যেখানেই থাকুক আমরা যদি তার নির্দেশনা শতভাগ বাস্তবায়ন করতে পারি, তাহলে এই সরকার নেই, সরকার থাকবে না।
তিনি আরও বলেন, বিএনপিসহ দেশের সকল রাজনৈতিক দল এরই মধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং ঘোষণা দিয়েছে শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না তারা। নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করে, মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করেই আগামী দিনে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। এ সময় ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সিলেটবাসীকে বিএনপির পাশে থাকার আহ্বান জানান গয়েশ্বর।
দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাজী সাহাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কোহিনুর আহমদের পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্ঠা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির চৌধুরী, বিএনপির মিডিয়া সেলের প্রধান ও সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপন, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমদ।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ড. এনামুল হক চৌধুরী, ডা. রফিকুল ইসলাম, ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী, নিপুন রায় চৌধুরী, বিলকিস ইসলাম, শেখ সুজাত মিয়া, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মিফতাহ সিদ্দিকী, কয়েস লোদী।
তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com