রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ এখনও সক্রিয় নয়: মহিলা পরিষদ

0

রাজনীতিতে নারীর সরাসরি অংশগ্রহণ এখনও সক্রিয় নয় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম। মঙ্গলবার (২১ জুন) বিকালে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের উদ্যোগে সংগঠনের আনোয়ারা বেগম-মুনিরা খান মিলনায়তনে ‘বাজেট ২০২২-২০২৩: জেন্ডার সংবেদনশীলতা পর্যালোচনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে জেন্ডার গ্যাপ সূচক অনুসারে বাংলাদেশ একটি ভালো অবস্থানে আছে। এটি কতদিন থাকবে তা শঙ্কার বিষয়। অর্থনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ বাড়লেও রাজনীতিতে সরাসরি অংশগ্রহণ এখনও সক্রিয় নয়। স্থানীয় সরকার পর্যায়ে নারীর কাজের ক্ষেত্রে বাধা আছে। জেন্ডার বাজেটে নারীকে মূলধারায় এগিয়ে আনতে বিশেষ উদ্যোগ বাজেটে নেই। কোভিড পরিস্থিতি স্তিমিত হলেও কোভিডের অভিঘাত নারীর শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থানসহ সব ক্ষেত্রের অর্জনে বিরুপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে।’ এ সময় তিনি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান ও নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে সুনির্দিষ্ট বাজেট বরাদ্দ করার দাবি জানান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, ‘নারীর অধিকার অর্জনে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। বাজেট বাস্তবায়নে নানা চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সবাইকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. এম এম আকাশ বলেন, ‘প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প আছে। নারীদের জন্য বরাদ্দ কতটা তা বের করার কিছু উপায় আছে। উদাহরণস্বরূপ নারীর জন্য তৈরি করা অবকাঠামো যেমন: হাসপাতাল ও স্কুল থেকে তারা কতটা সার্ভিস পাচ্ছে তা মনিটরিং করা এবং তার জন্য বরাদ্দ কত, তা দেখা যেতে পারে।’

কেয়ার বাংলাদেশের অ্যাক্টিং ডিরেক্টর (উইমেন অ্যান্ড গার্লস এমপাওয়ারমেন্ট প্রোগ্রাম) রওনক জাহান বলেন, ‘নারী ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য বাজেটে বিশেষ উদ্যোগ নেই। সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ কমেছে এবং নারীবান্ধব আইনের প্রকৃত বাস্তবায়নের জন্য যে সম্পদ বরাদ্দ দরকার, তা বাজেটে নেই। নারী ও কন্যা শিশুর অগ্রাধিকার বিবেচনায় নিতে হবে। আইনের প্রভিশন ও বাস্তবায়নের জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ থাকতে হবে।’

ডা. ফওজিয়া মোসলেমর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু, সংগঠনটির মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এবং বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শরমিন্দ নিলোর্মী। এ সময় সংগঠনের অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com