লাসভেগাস ছাড়াও কয়েকটি দেশে একাধিক কোম্পানী ও বিপুল বিনিয়োগ সিকদার পরিবারের

সিকদার পরিবারের মালিকানাধীন রেস্টুরেন্ট রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস ও নিউইয়র্ক, প্রমোদ নগরী হিসেবে খ্যাত লাসভেগাস, সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবি ও থাইল্যান্ডের ব্যাংককেও। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর ও সুইজারল্যান্ডে রয়েছে সিকদার পরিবারের বিপুল সম্পদ। এমনকি টেলিভিশন চ্যানেলও রয়েছে।

এক্সিম ব্যাংকের এমডিকে গুলি করে হত্যার চেষ্টার ঘটনা ঘটে গত ৭ মে। ঘটনা চাপা দেওয়ার নানা ধরনের চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পরে এক্সিম ব্যাংকের পক্ষে গুলশান থানায় মামলা করা হয় গত ১৯ মে। আর গত ২৫ মে মূল আসামি রন হক সিকদার ও দিপু হক সিকদার রোগী সেজে দেশ ত্যাগ করেন। বিভিন্ন দেশে বিপুল বিনিয়োগ রয়েছে আলোচিত সিকদার গ্রুপের। কিন্তু এর উৎস অজানা। প্রশ্নবিদ্ধ বিনিয়োগ।

জানা গেছে, দলের কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা নানাভাবে চেষ্টা করেছেন মামলা না হওয়ার জন্য। এমনকি মামলা হওয়ার পরে ব্যবস্থা না নিতেও পুলিশের কাছে তদবির করা হয়।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মামলার তদন্ত চলছে। ঘটনার দিন ব্যবহার করা গাড়ি জব্দ করা হয়েছে। এখন ব্যবহার করা পিস্তলটি খোঁজা হচ্ছে। আর মামলার অগ্রগতি জানতে আজ মঙ্গলবার পুলিশের সদর দপ্তরে একটি সভা ডাকা হয়েছে।

এদিকে বিশেষ অনুসন্ধানে জানা গেছে, সিকদার গ্রুপের এসব সম্পদ বাড়তে শুরু করে এক দশক ধরে। আর তাদের মালিকানাধীন ন্যাশনাল ব্যাংক খারাপ হতে শুরু করে ওই সময় থেকে। তবে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে বৈধভাবে কোনো অর্থ বিদেশে নেয়নি পরিবারটির কোনো সদস্য। ফলে বিদেশে এসব সম্পদের উৎস নিয়ে রয়েছে নানা প্রশ্ন।

Comments (০)
Add Comment