পদযাত্রায় পুলিশ-আইনজীবী সংঘর্ষ: মামলার প্রতিবেদন ৩০ জুন

বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের পদযাত্রা থেকে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ ৬৬ জনের বিরুদ্ধে মামলায় পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৩০ জুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল করেননি। এজন্য ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম প্রতিবেদন দাখিলের নতুন দিন ধার্য করেন।

এর আগে গত ১২ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় উপ-পরিদর্শক মো. শাহাবুদ্দিন হাওলাদার বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ১২ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে ঢাকা আইনজীবী সমিতি ভবনের নিচে ইউনাইটেড ল’ইয়ার্স ফ্রন্ট নামে ব্যানার এবং সরকারবিরোধী বিভিন্ন ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে উল্লেখিত আসামিরাসহ অজ্ঞাতনামা বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের সমর্থিত আরও অনেক আইনজীবী তাদের নির্ধারিত কর্মসূচি পদযাত্রা সফল করার লক্ষ্যে জড়ো হয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। এসময় ব্যারিস্টার মাহাবুব উদ্দিন খোকন, অ্যাডভোকেট কায়সার কামাল, অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস কাজল ও অ্যাডভোকেট মো. ওমর ফারুক ফারুকীদের নেতৃত্বে ইউনাইটেড ল’ইয়ার্স ফ্রন্ট ব্যানারসহ আইনজীবীরা মিছিল করতে করতে ঢাকা আইনজীবী সমিতি ভবন থেকে জনসন রোডের ঢাকা আইনজীবী সমিতি ভবনের প্রবেশ মুখে প্রধান সড়কের ওপর চলে আসেন।

তখন কোতোয়ালি থানা পুলিশ মিছিলকারী আইনজীবীদের রাস্তা অবরোধ না করার জন্য বার বার অনুরোধ করেন। আইনজীবীদের অনুরোধ করা সত্ত্বেও তারা পুলিশের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রধান সড়কে এসে রাস্তা অবরোধ করে যানচলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন। তখন পুলিশ অত্যন্ত ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে তাদের বোঝানোর চেষ্টা করে, ‘এলাকাটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। এখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতাল, বিশ্ববিদ্যালয়, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় রয়েছে। এছাড়া সাধারণ বিচারপ্রার্থীও যাওয়া-আসা করে থাকেন, আপনারা রাস্তা ছেড়ে দিন।’

তখন মিছিলকারীরা হট্টগোল সৃষ্টি করে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভয় ও আতঙ্ক সৃষ্টি করে কর্তব্যরত পুলিশের ওপর প্রথমে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন এবং তাদের হাতে থাকা প্ল্যাকার্ডের লাঠি দিয়ে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের পিটিয়ে আহত করেন। এসময় আত্মরক্ষার্থে এবং যানচলাচল ও সাধারণ মানুষের চলাচল স্বাভাবিক রাখাসহ আদালত প্রাঙ্গণ এলাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে আইনজীবীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ সদস্যরা। এ ঘটনায় মিছিলকারী আইনজীবীদের নিক্ষিপ্ত ইটপাটকেল ও প্ল্যাকার্ডের লাঠির আঘাতে কোতোয়ালি জোনের এডিসি মুহিত কবির সেরনিয়াবাত, কোতোয়ালি থানার এসি শাহিনুর ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুর রহমান, ওসি অপারেশন নাজমুল হক, এএসআই বসির ও কনস্টেবল রুহুল আমিন, আনসার সদস্য সুমন আলী আহত হন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন- বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট মো. ওমর ফারুক ফারুকী, আব্দুল খালেক মিলন, খোরশেদ আলম মিয়া, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম সজল, অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান খান, অ্যাডভোকেট জহুরুল ইসলাম মুকুল, মোহাম্মদ আলী, অ্যাডভোকেট দেওয়ান রিপন, অ্যাডভোকেট হাজী মো. মহাসিন, অ্যাডভোকেট মুজাহিদুল ইসলাম সায়েম, অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন, অ্যাডভোকেট শাম্মী আক্তার, অ্যাডভোকেট মোসা. হিরা, অ্যাডভোকেট নারগিস পারভেজ মুক্তি, অ্যাডভোকেট নুরুল ইমান বাবুল, অ্যাডভোকেট ইউসুফ সরকার, অ্যাডভোকেট আজাহারুদ্দিন রিপন, অ্যাডভোকেট কে এম মিরাজ হোসেন, অ্যাডভোকেট সাইদুর রহমান সোহাগ, অ্যাডভোকেট কেএম বরকত সবুজ, অ্যাডভোকেট মাহবুব আলম আক্তার, অ্যাডভোকেট জহুরুল ইসলাম মুকুল, অ্যাডভোকেট কাজী পনির, অ্যাডভোকেট এস এম হুমায়ুন কবির, অ্যাডভোকেট মোসা. তাহমিনা আক্তার হাসমি, অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান হাফিজ, অ্যাডভোকেট তহিদুর রহমান তৌহিদ, অ্যাডভোকেট আব্দুল হান্নান, অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম শফিক, অ্যাডভোকেট মোসা. খুকি, অ্যাডভোকেট যাদু, অ্যাডভোকেট নুরুজ্জামান, অ্যাডভোকেট জাবেদ, অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন, অ্যাডভোকেট ইব্রাহীম স্বপন, অ্যাডভোকেট সাঈদ আবু জাফর রিজভী, অ্যাডভোকেট আল ফয়সাল সিদ্দিক, অ্যাডভোকেট এমডি কাইয়ুম, অ্যাডভোকেট দেলোয়ার জাহান রুমি, অ্যাডভোকেট এ. আর রায়হান, অ্যাডভোকেট আমির, অ্যাডভোকেট আব্দুর রশিদ, অ্যাডভোকেট নুরুজ্জামান তপন, অ্যাডভোকেট মাজিদুর রহমান মাজেন, অ্যাডভোকেট তানভীর সোহেল, অ্যাডভোকেট মোসা. রওসন দিল আফরোজ, অ্যাডভোকেট সেলিম চৌধুরী, অ্যাডভোকেট শাহাদাত হোসেন আদিল, অ্যাডভোকেট আব্দুল বাছেদ রাখি, অ্যাডভোকেট শেখ আলাউদ্দিন, অ্যাডভোকেট রফিক (সাবেক লাইব্রেরিয়ান), অ্যাডভোকেট ইলিয়াছ, অ্যাডভোকেট আফজাল মৃধা, অ্যাডভোকেট টিপু সুলতান, অ্যাডভোকেট আশরাফ জালাল খান মনন, অ্যাডভোকেট শিপন, অ্যাডভোকেট লুৎফর, অ্যাডভোকেট লতিফ ভূঁইয়া, অ্যাডভোকেট মাহাবুব উদ্দিন, অ্যাডভোকেট পাপ্পু, অ্যাডভোকেট রাহাত, অ্যাডভোকেট রাসেল আহম্মেদ, অ্যাডভোকেট ফরিদ উদ্দিন, ও অ্যাডভোকেট শহিদুল ইসলাম।

Comments (০)
Add Comment