ড. দিলারা চৌধুরী বলেছেন, একটি দেশ উন্নত হতে হলে সেখানে মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও মেধাবীদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের দেশে গঠনমূলক রাজনীতি চর্চার সুযোগ নেই। দেশে এখন ফ্যাসিবাদী, আগ্রাসী শাসন চলছে— নতুন সৃষ্টিশীল রাজনীতি বিকশিত হওয়ার পথে এটা বিরাট অন্তরায়।
গতকাল শনিবার (২৭ এপ্রিল) আমার বাংলাদেশ পার্টি- এবি পার্টির উদ্যোগে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জনআকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ ঘোষণার স্মৃতিচারণ ও উদ্যোক্তাদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
দিলারা চৌধুরী বলেন, নতুন রাজনৈতিক উদ্যোগ জনআকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ ঘোষণার দিন আমি উপস্থিত ছিলাম। সব প্রতিকূলতা ও সমস্যা সামনে রেখে জনআকাঙ্ক্ষা থেকে শুরু করে এবি পার্টি আজ যে পর্যায়ে এসেছে, তাতে তাদের সাধুবাদ জানাতে হয়। স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের মূল বক্তব্যের আলোকে এই দেশকে একটি ওয়েলফেয়ার স্টেটে পরিণত করার যে চ্যালেঞ্জ এবি পার্টি গ্রহণ করেছে, সেটাও অনেক কঠিন। একটি দেশ উন্নত হতে হলে সেখানে মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও মেধাবীদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের দেশে গঠনমূলক রাজনীতি চর্চার সুযোগ নেই। দেশে যে ফ্যাসিবাদী, আগ্রাসী শাসন চলছে, নতুন সৃষ্টিশীল রাজনীতি বিকশিত হওয়ার পথে এটা বিরাট অন্তরায় বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এবি পার্টির আহ্বায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এই স্মৃতিচারণ ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট লেখক, কলামিস্ট, মানবাধিকা কর্মী রুবী আমাতুল্লাহ, অভিনেত্রী ও সংগঠক আরজুমান্দআরা বকুল। পুনর্মিলনীতে স্মৃতিচারণ করেন এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, এবি পার্টির দফতর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, যুবপার্টির আহ্বায়ক এবিএম খালিদ হাসান, কেন্দ্রীয় সহকারী সদস্যসচিব এম আমজাদ খান প্রমুখ।