মিথ্যা মামলায় বিএনপির আটক নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের

0

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় খুলে দেয়া এবং ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশের পর মিথ্যা মামলায় আটক দলটির মহাসচিবসহ সকল নেতাকর্মীদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম।

সোমবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির দক্ষিণ হলে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘২৮ অক্টোবরের বিএনপির শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে এর আগে ও পরে ৬১৩টি মামলা দায়েরের মাধ্যমে বিরোধী দলীয় ১৩ হাজার ৩৮৬ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা। আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেফতার অনেক নেতাকর্মীকে রিমান্ডে নিয়ে তথাকথিত স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী আদায় করে বিভিন্ন মিডিয়াতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ফলাও করে প্রচার করা হচ্ছে। যা মিডিয়া ট্রায়ালেরই নামান্তর। এ কাজের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সরকারি দলের রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে। অথচ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের দ্বৈত বেঞ্চ গত ২০১২, ২০১৫ এবং ২০১৯ সালের বিভিন্ন মামলায় রিমান্ড, গ্রেফতার ও পরবর্তী মিডিয়া ট্রায়াল না করার জন্য সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে এবং যা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পালনীয় বলে আমরা মনে করি। তাছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এই সমস্ত মিডিয়া ট্রায়াল দেশের প্রচলিত আইন এবং সংবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘনও বটে। আমরা এ সমস্ত বে-আইনি মিডিয়া ট্রায়াল বন্ধের দাবি জানাচ্ছি।’

সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, ‘বিএনপির ২৮ অক্টোবরের শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীর প্রায় সকল থানাতেই মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে ২৯ অক্টোবরের পল্টন থানায় দায়েরকৃত মামলায় বিএনপির মহাসচিবসহ মোট ১৬৪ জন নেতাকর্মীর নামে উল্লেখ করা হয় এবং অজ্ঞাতের সংখ্যা উল্লেখ করা হয়নি। ইতোমধ্যেই আমরা অবগত হয়েছি, পল্টন থানায় ওই মামলায় দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিএনপির অনেক দায়িত্বশীল নেতাদের গ্রেফতার দেখানো হচ্ছে। কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ ছাড়া ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানো সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং হয়রানিমূলক। এছাড়া হয়রানিমূলক মৃত ব্যক্তিকেও আসামি করা হচ্ছে। আইনজীবীদের জনপ্রিয় নেতা অ্যাভোকেট মো: সানাউল্লাহ মিয়া সাড়ে তিন বছর আগে মারা গেছেন, অথচ গত ২৮ অক্টোবরের ঘটনায় দায়েরকৃত একটি মামলায় তাকে আসামি করা হয়েছে। আমরা এ ধরনের কাজের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিএনপির আইন সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফোরামের সভাপতি ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী, বিএনপির ভাইচ চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীন, ইউনাইটেড ল’ইয়ার্স ফ্রন্টের কো-কনভেনর সুব্রত চৌধুরী, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক মাহবুব উদ্দিন খোকন, বদরুদ্দোজা বাদল, রুহুল কুদ্দুস কাজল, সাবেক সহ-সভাপতি জগলুল হায়দার আফ্রিক, আব্দুল জব্বার ভূইয়া, আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক গাজী কামরুল ইসলাম সজল, আইনজীবী আবেদ রাজা, মো: আক্তারুজ্জামান, মো: কামাল হোসেন প্রমুখ।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com