তেলের পর বাড়ল গ্যাসের দাম

ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটার প্রতি ১৫ টাকা করে বেড়েছে। ভোক্তা পর্যায়ে ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য প্রতি লিটারে ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা করা হয়েছে। বুধবার (৩ নভেম্বর) রাত ১০টায় জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। গত রাত ১২টা থেকে নতুন দাম কার্যকর হয়েছে।

তেলের দাম বাড়ানোর একদিন পরেই আরেক দফা বাড়ানো হলো এলপিজি গ্যাসের দাম। গ্রাহক পর্যায়ে ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ২৫৯ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৩১৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। কয়েক দিনের ব্যবধানে ৫৪ টাকা বাড়ানো হলো।

বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) বিইআরসি এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। একই দিন রাজধানীর কাওরান বাজারে বিইআরসি সংবাদ সম্মেলনে নতুন এ দাম ঘোষণা করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে কমিশনের চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল, সচিব রুবিনা ফেরদৌসী, সদস্য মকবুল-ই-ইলাহি, আবু ফারুকসহ অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞপ্তিতে এলপিজি গ্যাসে কেজি প্রতি সাড়ে ৪ টাকা বেড়েছে। বেসরকারি পর্যায়ে নভেম্বর মাসের জন্য এলপিজি মুসকসহ কেজি প্রতি ১০৪ দশমিক ৯২ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০৯ টাকা ৪২ পয়সা করা হয়েছে।

গত অক্টোবরে এলপিজি মুসকসহ কেজি প্রতি ৮৬ টাকা ৭ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১০৪ দশমিক ৯২ টাকা করেছিল বিইআরসি। এর ফলে ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম অক্টোবর মাসে এক হাজার ৩৩ টাকা থেকে বেড়ে এক হাজার ২৫৯ টাকা হয়। গত ১০ অক্টোবর থেকে এই দাম কার্যকর করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, একইসঙ্গে বেড়েছে পরিবহনে ব্যবহৃত এলপি গ্যাসের দাম। যা অটোগ্যাস নামে প্রচলিত। নভেম্বর মাসের জন্য অটোগ্যাসের দাম প্রতি লিটার ৫৮ দশমিক ৬৮ থেকে বাড়িয়ে ৬১ টাকা ১৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়। লিটারে বেড়েছে ২ টাকা ৫০ পয়সা। আর গেল অক্টোবরেই বেড়েছিল ৮ টাকা ১২ পয়সা।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সৌদি সিপি অনুসারে সেপ্টেম্বরের তুলনায় অক্টোবরে প্রোপেন ও বিউটেনের দাম যথাক্রমে টন প্রতি ৮৭০ এবং ৮৩০ ডলার, মিশ্রণ অনুপাত ৩৫:৬৫ বিবেচনায় নভেম্বরে জন্য এ নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। যা অক্টোবরে ছিল যথাক্রমে প্রতি টন ৮০০ ডলার এবং ৭৯৫ ডলার।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এলপিজি দাম সমন্বয় করা হলেও সরকারের বেঁধে দেওয়া দাম মানে না ব্যবসায়ীরা। খুচরা পর্যায়ে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে দেড়শ থেকে ২০০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হয় এলপিজি সিলিন্ডার। ফলে এলপিজি ব্যবহারে বাড়তি অর্থ গুণতে হচ্ছে সাধারণ ভোক্তা আর মুনাফা লুটছে কোম্পানি, ডিলার আর খুচরা ব্যবসায়ীরা।

Comments (০)
Add Comment