বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার রেল পরিচালনা ও সড়কে দুর্ঘটনা রোধে ব্যর্থ। সরকার নিজেই যেখানে লাইনচ্যুত হয়ে গেছে, সেখানে রেল কিভাবে লাইনে থাকে।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
পদ্মা সেতু প্রকল্প প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পুরো প্রকল্পের ব্যয় এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০ হাজার কোটি টাকা। মেগা প্রজেক্ট এর সাথে মেগা দুর্নীতি এবং নতুন করে যোগ হয়েছে মেগা পাচার। মানি লন্ডারিং এর মাধ্যমে এসব টাকাগুলো পাচার করা হচ্ছে।
রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, রোহিঙ্গা নিধন ও নির্যাতনের জন্য আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মামলা করছে। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার মামলা না করায় সরকারের অনিহা দেখছে বিএনপি। এ বিষয়ে তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধির পেছনে সিন্ডিকেট সৃষ্টি হয়েছে। সেই সিন্ডিকেটের পেছনে সরকারের মদদ রয়েছে। শুধু পেঁয়াজ নয়, নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রত্যেকটি পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। আমরা এ বিষয়ে সরকারের ব্যর্থতার নিন্দা জানাচ্ছি।
ফখরুল বলেন, বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আগামী ২৮ তারিখ যে গণশুনানি হবে তাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল অংশগ্রহণ করবে। সেখানে তারা এ বিষয়ে আমাদের বিএনপির যে বক্তব্য তুলে ধরবেন।
সুমি আক্তারের মতো আট হাজার নারী শ্রমিক ফেরত এসেছেন জানিয়ে ফখরুল বলেন, এর মধ্যে ৫৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এটা নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী যে মন্তব্য করেছেন আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন ‘এটা কোনো বড় সংখ্যা নয়’। আমরা তার এই বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। এ বিষয়ে আমাদের নারী সংগঠনগুলো পরবর্তীতে কার্যক্রম নেবে।
বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে তিনি বলেন, দেশনেত্রী প্রায় পঙ্গুত্ব অবস্থায় চলে এসেছে বলে মেডিকেল বোর্ড জানিয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা গোপন করে বিএসএমএমইউ পরিচালক গর্হিত কাজ করেছেন।
বিএনপি মহাসচিব ছাড়াও বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস,গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বেগম সেলিমা রহমান।