ঘুম ভাঙার ডাক দিলেন মিসবাহ

পাকিস্তান সফরে দ্বিতীয় সারির একটা দল নিয়েই এসেছিল শ্রীলঙ্কা দল। ওয়ানডে সিরিজটা হারলেও, টি-টোয়েন্টি সেই লঙ্কানরাই নিজেদের শক্তিমত্তার জানান দিয়ে দিল। এক ম্যাচ হাতে রেখেই তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে গেছে দলটি।

এই সিরিজ হারকে দলের জন্য বড় ব্যর্থতা হিসেবেই মানছেন দলের কোচ ও প্রধান নির্বাচক মিসবাহ উল হক। ‘ঘুম ভাঙার ডাক’ দিয়ে তিনি বলেন, ‘হারাটা কখনোই ভালো ব্যাপার নয়, বিশেষ করে সেই দলের বিপক্ষে যারা নিজেদের মূল খেলোয়াড়দের ছাড়াই খেলতে নেমেছে। এটা অবশ্যই আমাদের ঘুম ভাঙার ডাক।’

সাবেক মিসবাহ মনে করেন, ব্যাটিং-বোলিং ও ফিল্ডিং—তিনটি বিভাগে এখনো বিস্তর উন্নতির জায়গা আছে পাকিস্তান দলটির। তিনি বলেন, ‘দুটি দলের মধ্যে পার্থক্যটা পরিষ্কার প্রমাণ হয়ে গেছে। ওরা অনভিজ্ঞ হলেও বেশ শৃঙ্খলার সঙ্গে খেলেছে। আর আমরা কোনোভাবেই আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারিনি। বোলিং, ব্যাটিং ও ফিল্ডিং—সবগুলো বিভাগেই আমরা পিছিয়ে ছিলাম। অনেক উন্নতির জায়গা এখনো আছে। যেভাবে আমরা স্পিন বোলিংয়ের বিপক্ষে আউট হয়েছি সেটা মানা যায় না। আর আমাদের ডেথ বোলিংটাও দুশ্চিন্তার কারণ।’

পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি র‍্যাকিংয়ে এক নম্বর দল। অথচ, তারা টানা দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও হারলো শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে ৩৫ রানে হারে সরফরাজ আহমেদের দল। ১৮২ রান তাড়ায় এক ওভার বাকি থাকতে ১৪৭ রানে গুটিয়ে গেছে পাকিস্তান। ম্যাচ সেরা হয়েছেন শ্রীলঙ্কার ভানুকা রাজাপাকশে। ৪৮ বলে চারটি চার ও ছয়টি ছক্কায় ৭৭ রান করেন তিনি। পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টিতে সিরিজ জিতল শ্রীলঙ্কা।

ম্যাচে লজ্জার রেকর্ডটাকে আরো একধাপ এগিয়ে নিয়ে শীর্ষে উঠে এসেছেন উমর আকমল। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশিবার শূন্য রানে আউট হওয়ার দিক থেকে যৌথভাবে বিশ্বরেকর্ডের মালিক এখন তিনি। ৮৪ ম্যাচে ১০ বার শূন্য রানে ফিরেছেন আকমল। তার মতো ১০টি ‘ডাক’ আছে শ্রীলঙ্কার তিলকারত্নে দিলশানেরও। এর আগে প্রথম ম্যাচেও ‘ডাক’ করেন উমর।

আজ একই ভেন্যুতে মানে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করার হাতছানি শ্রীলঙ্কার সামনে।

শেষ ম্যাচকে সামনে রেখে ব্যাটসম্যানদের আরো মনোযোগী হতে বললেন মিসবাহ। তিনি বলেন, ‘সব মিলিয়ে আমরা ব্যর্থ হয়েছি। প্রতিটি বিভাগেই আমরা বাজে করেছি। এটা আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে। আমরা নিজেদের সক্ষমতা অনুযায়ী খেলতে পারিনি। আমরা ব্যাটসম্যানদের থেকে আরো বেশি মনোযোগ চাই। দুই-একজনের ওপর নির্ভরশীলতার দিন শেষ। দায়িত্ব নিতে হবে সবাইকেই।’

ইত্তেফাক/ এসএ

Comments (০)
Add Comment