ইসরায়েলে হামলা থামানোর জন্য যে শর্ত দিল লেবাননে ইরান সমার্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ

ইসরায়েলে হামলা থামানোর জন্য একটি শর্ত দিয়েছে লেবাননে ইরান সমার্থিত সশস্ত্র ইসলামি গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। গাজা উপত্যকায় পূর্ণ যুদ্ধবিরতি হলে ইসরায়েলের সাথে লড়াই বন্ধ করবে বলে জানিয়েছে গোষ্ঠীটি।

মঙ্গলবার এ কথা জানান হিজবুল্লাহর শীর্ষ নেতা ও সাংগঠনিক উপপ্রধান শেখ নাঈম কাসেম। বৈরুতের দক্ষিণ শহরে হিজবুল্লাহর রাজনৈতিক কার্যালয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাসোসিটেটেড প্রেসকে (এপি) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানান।

সাক্ষাৎকারে শেখ নাইম কাসেম বলেন, “যদি গাজায় পূর্ণ যুদ্ধবিরতি হয়, আমরা কোনো আলোচনা ছাড়াই থামব। ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে হামাসের মিত্র হিসেবে আমরা এখান থেকে (ইসরায়েলে) হামলা চালাচ্ছি। যদি যুদ্ধ বন্ধ হয়ে যায়, এই সামরিক সমর্থন আর থাকবে না।“

তিনি আরও বলেন, “যদি ইসরায়েল আনুষ্ঠানিক যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে সেনাদের সম্পূর্ণ প্রত্যাহারসহ তাদের সামরিক অভিযান বন্ধ করে, তাহলে লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তে সংঘর্ষ বন্ধ হবে।“

তবে, ইসরায়েল আনুষ্ঠানিক যুদ্ধবিরতি চুক্তি এবং গাজা থেকে সম্পূর্ণ সেনা প্রত্যাহার না করলে লেবানন-ইসরায়েল সীমান্ত সংঘাত কেমন হবে তা তিনি স্পষ্ট করে জানাননি।

তিনি বলেন, গাজায় যা ঘটে তা যদি যুদ্ধবিরতি ও যুদ্ধের মাঝামাঝি হয় তাহলে আমাদের জবাব কেমন হবে, তা এখনো বলতে পারছি না। কারণ আমরা এর ধরন, ফলাফল ও প্রভাব সম্পর্কে এখনো জানি না।

গত বছরের ৭ অক্টোবর সীমান্ত পেরিয়ে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস। অতর্কিত সেই হামলার জবাবে ওই দিন থেকেই গাজায় বোমা হামলা ও অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। সেই অভিযানে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছে ৩৭ হাজার ৯০০ ফিলিস্তিনি।

হামাস-ইসরায়েলের যুদ্ধের পরদিন ৮ অক্টোবর থেকেই হামাসের সমর্থনে সীমান্ত এলাকা থেকে ইসরায়েলের বিভিন্ন সামরিক-বেসামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট হামলা শুরু করে হিজবুল্লাহ। সেই হামলার জবাবে লেবাননেও হামলা চালায় ইসরায়েল।

Comments (০)
Add Comment