বিশ্বব্যাপী শরণার্থীদের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে, যা খুবই আতঙ্কজনক: ফখরুল

বিশ্বব্যাপী শরণার্থীদের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে, যা খুবই আতঙ্কজনক জানিয়ে বাংলাদেশকে রোহিঙ্গা সংকটের সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, বিশ্বজুড়ে সহিংসতা এবং নিপীড়নের কারণে জোরপূর্বক বাস্তচ্যুত প্রায় ১২ কোটি মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছে। জাতিসংঘ ক্রমবর্ধমান সংখ্যাটিকে ‘বিশ্বের রাষ্ট্রসমূহের ওপর ভয়ঙ্কর অভিযোগ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি আবার অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। পৃথিবীর দেশে দেশে উদ্বাস্তু সমস্যা আজও ভয়াবহ ও অমানবিক। বিশ্ব নাগরিকদের সহজাত কিছু অধিকার রয়েছে, যেমন- মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকার জন্য আশ্রয়, নিরাপত্তা এবং এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাওয়ার স্বাধীনতাসহ মানবিক মর্যাদা।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান সময়ে বিশ্বব্যাপী শরণার্থীদের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে, যা খুবই আতঙ্কজনক।

২০ জুন বিশ্ব শরণার্থী দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, শরণার্থীরাও বিভিন্ন দেশে ক্ষুধা ও বেকারত্বের তাড়নায় অপরাধের সঙ্গে জড়িত হওয়ার কারণে স্থানীয় সংস্কৃতির জন্য হুমকি হয়ে পড়ায় নতুন নতুন সংকটের সৃষ্টি হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের নাম জোরেশোরে আলোচিত হবে মূলত রোহিঙ্গা সমস্যার কারণে। রোহিঙ্গা সমস্যার সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী হচ্ছে বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছে। বাংলাদেশের জনগণ রোহিঙ্গাদের নানা ধরনের দুর্যোগে পাশে থেকে ভূমিকা রাখছে। অথচ রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে আওয়ামী লীগ সরকারের কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেই।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, রোহিঙ্গাদের নাগরিক হিসেবে মর্যাদা দিয়ে নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমারকে বাধ্য করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। বিএনপি বিশ্ব শরণার্থী দিবসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাসহ বিশ্বের সব শরণার্থীর সংকট মোকাবিলায় এগিয়ে যেতে অঙ্গীকারাবদ্ধ।

মির্জা ফখরুল দিবসটি ঘিরে বিশ্বের সব শরণার্থীর মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকার লড়াইয়ের প্রতি আন্তরিক সংহতি জানান।

Comments (০)
Add Comment