বরিশালের বানারীপাড়ায় মায়ের পরকীয়ার জেরে মেয়ের আত্মহত্যা

বরিশালের বানারীপাড়ায় মায়ের পরকীয়ার জেরে মেয়ে জান্নাতুল খানমের (১৩) আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার উপজেলার আহম্মদাবাদ বেতাল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত জান্নাতুল সলিয়াবাপুর ইউনিয়নের ধারালিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী।

এ বিষয়ে নিহত জান্নাতুলের বৃদ্ধ দাদা মো. ইউফ হাওলাদার জানান, তার পালক ছেলে পাপন হাওলাদারকে তিনি লেখাপড়া শিখিয়ে সৌদি আরব পাঠিয়েছেন। পার্শ্ববর্তী ধারালিয়া গ্রামের সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক মো. আবুল কালামের মেয়ে সান্তাকে তার ছেলে পাপনের সঙ্গে বিয়ে দিয়েছেন। বিয়ের পর তাদের সংসারে দুটি সন্তান হয়েছে। ছেলে সৌদি থাকার কারণে তার পালক পুত্রবধূ অন্যের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে।

এ নিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা একাধিকবার শালিশ বৈঠক করেছেন। এক পর্যায়ে সান্তার সঙ্গে তার ছেলের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। পরে সান্তা তার ভুল বুঝতে পেরে মেয়ে জান্নাতুলকে দিয়ে তার বাবা পাপনকে ফোন করান। এ সময় সান্তা তার দুই সন্তানের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে পাপনের কাছে অতীতের সব ভুল ক্ষমা চেয়ে পুনরায় তাকে বিয়ে করার কথা বলেন। ছেলেমেয়ের কথা চিন্তা করে সৌদি প্রবাসী পাপন সম্প্রতি মোবাইল ফোনে সান্তাকে পুনরায় বিয়ে করেন।

এরপর থেকে সান্তা তার দুই সন্তান জান্নাতুল (১৩) ও ছেলে আবদুল্লাহকে (৮) নিয়ে ধারালিয়া গ্রামের মোক্তার বাড়িতে ভাড়াটিয়া বাসায় বসবাস শুরু করেন। মঙ্গলবার সকালে মেয়ে জান্নাতুল ঘুম থেকে জেগে মাকে খুঁজে না পেয়ে প্রতিবেশিদের জিজ্ঞেস করে। এ সময় প্রতিবেশিরা তার মায়ের পরকীয়ায় আসক্ত থাকার বিষয়ে কটাক্ষ করেন। পরে সেখান থেকে জান্নাতুল তার বাড়িতে ফিরে যায়। এদিন সকাল ৮টার দিকে প্রতিবেশিরা জান্নাতুলকে না দেখে তার ঘরে ডাকতে যান। এ সময় তারা জান্নাতুলকে ওই ঘরের বাথরুমে লোহার গলায় ওড়না পেঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। সেখান থেকে তারা জান্নাতুলকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

Comments (০)
Add Comment