ভারতকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা কি জনগণের শত্রু হবে, নাকি আ.লীগের বন্ধু হবে: সালাম

ভারতকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা কি জনগণের শত্রু হবে, নাকি আওয়ামী লীগের বন্ধু হবে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম বলেছেন, তিনি আজকেও বলেছেন বিদেশে তাদের কোনো মুরুব্বি নেই। অথচ, সীমান্তে হামলা এবং যতগুলো খুন হয়েছে কোনোটার প্রতিবাদ আমরা আওয়ামী লীগকে জানাতে দেখিনি।

যুদ্ধ করে এ দেশটাকে স্বাধীন করেছি। যুদ্ধের সময় ভারত আমাদের সহযোগিতা করেছে তার জন্য আমরা ঋণী। কিন্তু তার মানে এ নয় যে, আমরা দিল্লির দাসত্ব করবো। বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ। আমরা কারো বিপক্ষে নই, বাংলাদেশের পক্ষে। বাংলাদেশের বিপক্ষে যে যাবে আমরা তার বিপক্ষে আছি।

সালাম বলেন, গত দুটি নির্বাচনে প্রতিবেশী রাষ্ট্র আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনার জন্য যেভাবে কাজ করেছে তা পররাষ্ট্রনীতির মধ্যে পড়ে না। আজকে ভারতকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা কি আওয়ামী লীগের সঙ্গে বন্ধুত্ব চায় নাকি জনগণের বন্ধুত্ব চায়। তারা কি জনগণের শত্রু হবে, নাকি শুধু আওয়ামী লীগের বন্ধু হবে।

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ আয়োজিত সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফ কতৃক নিরীহ বাংলাদেশিদের হত‍্যার প্রতিবাদ এবং নিত‍্য প্রয়োজনীয় দ্রব‍্যমূল‍্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখার দাবিতে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, মানুষ আজ তাদের ভোটের অধিকার ফেরত চায়। আমরা রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছি। তাই এদেশকে কেউ পদদলিত করতে পারবে না, শৃঙ্খলিত করতে পারবে না। আজকে যদি সরকার পরিবর্তন সব গণতান্ত্রিক পথ রুদ্ধ করা হয় তাহলে ভোটাধিকার, বাকস্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা রক্ষার জন্য আধিপত্যবাদী সরকারকে বিদায় করতে জনগণ সর্বশক্তি দিয়ে সংগ্রামে নামবে। যদি জনগণের পালস বুঝতে পারেন তাহলে বলবো স্বৈরাচারী পথ থেকে সরে আসুন। পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দেন। দেখেন জনগণ কাকে চায়।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের নামে প্রহসন চলছে। দেশের মানুষ একতরফা নির্বাচন মানছে না। এখনো প্রধানমন্ত্রী ও ওবাদুল কাদের বলেন- জনগণ তাদের সঙ্গে আছে। ৫ ভাগ মানুষও ভোট দিতে যায়নি। মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। তাই বলবো দেশকে অরাজকতার দিকে ঠেলে দেবেন না। সরকার দেশে দুর্ভিক্ষ লাগিয়ে নিজেদের মধ্যে হানাহানি বাজাতে চান এবং অন্য রাষ্ট্রকে সুযোগ করে দিতে চান। বাংলাদেশকে ক্ষতির দিতে নিয়ে যেতে চান। সে পথ থেকে দূরে সরে আসুন।

Comments (০)
Add Comment