খাবার-পানির সঙ্কটে কুড়িগ্রামের বানভাসি মানুষ
ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হয়েছে। ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপরে কিছুটা স্থিতিশীল অবস্থায়। তবে ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি পেয়ে চিলমারী ও নুনখাওয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে প্লাবিত হয়ে পড়ছে নতুন নতুন এলাকা।
রবিবার (১৯ জুন) সকালে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্ল্যাহ আল মামুন বিষয়টি জানিয়েছেন।
এদিকে, গত ৫ দিন ধরে পানি বন্দি থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন জেলার ৯ উপজেলার লক্ষাধিক বানভাসী মানুষ। বিশেষ করে দুর্গম চরাঞ্চলের বন্যা কবলিতরা নৌকা ও ঘরের উঁচু করা মাচানে বসবাস করলেও শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে পড়েছেন তারা। অনেক পরিবার ঘর-বাড়ি ছেড়ে পাকা সড়ক ও উঁচু বাঁধে আশ্রয় নিতে শুরু করেছেন। শিশু ও গবাদি পশুর খাদ্য সংকট নিয়েও দুর্ভোগে বেড়েছে বন্যা কবলিতরা।
কুড়িগ্রাম সদরের শুলকুর বাজার এলাকায় পাকা সড়কের ধারে আশ্রয় নেওয়া আমেনা বেগম বলেন, ‘ঘরের ভিতর পানি ঢুকে চৌকি তলিয়ে গেছে। থাকার মতো অবস্থা না থাকায় ছেলে মেয়ে নিয়ে রাস্তায় এসে উঠেছি।’
সদরের ব্রহ্মপুত্রের অববাহিকার যাত্রাপুর ইউনিয়নের চর যাত্রাপুর এলাকার কাদের আলী বলেন, ‘ঘরের সবকিছু পানিতে তলিয়ে গেছে। নিকটবর্তী কোন উঁচু জায়গা না থাকায় নৌকায় অবস্থান নিয়ে দিন পার করছি। ঠিক মতো রান্না করতে না পারায় খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছি। এখন পর্যন্ত কোনো সহযোগিতা পাইনি।’
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্ল্যাহ আল মামুন জানান, ধরলার পানি বিপৎসীমার ওপর কিছুটা স্থিতিশীল অবস্থায় থাকলেও ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি পেয়ে দুটি পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।