সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি
টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন সুনামগঞ্জ সদর, বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর, ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ। কয়েকদিনের বন্যায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট।
টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের পাঁচটি উপজেলার মানুষ বন্যাকবলিত হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। বানের পানিতে বসত ঘর হারিয়ে অনেকে পরিবার নিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে উঠেছেন।
শুক্রবার (২০ মে) সকালে সুনামগঞ্জের নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
এদিকে, বৃহস্পতিবার বিকেলে সুনামগঞ্জের দোয়ারা বাজারের দোহালিয়া এলাকায় বানের পানির স্রোতে একটি সেতু ভেঙে গিয়ে সুনামগঞ্জ সদেরর সঙ্গে ছাতক উপজেলার সরাসরি যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
বন্যাকবলিতরা বলেন, বাড়ি-ঘর ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছি। ঘরের আসবাবপত্র বানের পানিতে ভেসে গেছে। বিশুদ্ধ পানি সুব্যবস্থা না থাকায় বন্যার দুর্গন্ধ যুক্ত পানি পান করতে হচ্ছে।
দোয়ারা বাজারের পানিবন্দি রেহান বেগম বলেন, ‘বন্যার পানিতে টিউবওয়েল ডুবে গেছে। এখন বন্যার পানি গরম করে কোনোরকমে পান করছি।’
ছাতক উপজেলার বাসিন্দা সুমাইয়া বেগম বলেন, ‘বন্যার পানি পান করায় গলা চুলকাচ্ছে। বানের পানি আসার পর থেকে ঠিকমতো তিনবেলা খেতে পারছি না। এরওপর এখন বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে।
সুনামগঞ্জ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল কাশেম বলেন, বন্যা মোকাবিলায় আমাদের যথেষ্ট প্রস্তুতি রয়েছে। এরই মধ্যে বন্যাকবলিত উপজেলাগুলোতে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করা হয়েছে।