সুরমা-কুশিয়ারা বিপদসীমায়, দুর্ভোগে নিম্নাঞ্চলের মানুষ
বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটের নদ-নদীগুলোর পানি বেড়েই চলেছে। প্রধান দুই নদী-সুরমা ও কুশিয়ারা এখন বিপদসীমার (ডেঞ্জার জোন) ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এছাড়া পানি বৃদ্ধির কারণে ইতোমধ্যেই সিলেটের ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। জেলার নিম্নাঞ্চল তলিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ।
রোববার সকালে নদীগুলোর পানিসীমার সর্বশেষ তথ্য জানিয়েছে সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
তথ্য মতে, সকাল ৯টায় সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ১ দশমিক ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, যা গতকালের চেয়ে বেশি। শনিবার সন্ধ্যায় সিলেট পয়েন্টে পানি ছিল ১০ দশমিক ৫১ সেন্টিমিটার। রোববার সকালে পানিসীমা দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৬২ সেন্টিমিটার।
কুশিয়ারা নদীর পানি আমলশিদ পয়েন্টে আজ সকালে বিপদসীমার ৯৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এ নদীর পানি শেরপুর পয়েন্টে বেড়েছে, যা শনিবার সন্ধ্যায় এ পয়েন্টে পানিসীমা ছিল ৬ দশমিক ৭০ সেন্টিমিটার, রবিবার সকাল ৯টায় পানিসীমা হয় ৭ দশমিক ৭৩ সেন্টিমিটার। ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টেও পানি বেড়েছে। এখানে শনিবার সন্ধ্যায় পানিসীমা ছিল ৮ দশমিক ০৯ সেন্টিমিটার; যা রোববার সকালে পানিসীমা দাঁড়ায় ৮ দশমিক ৫০ সেন্টিমিটার।
এদিকে গোয়াইনঘাটের সারি নদীর পানি বিপদসীমার ০.৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানিবৃদ্ধির কারণে সিলেটের গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও জকিগঞ্জ উপজেলার নিম্নাঞ্চলগুলো তলিয়ে গেছে। বিভিন্ন জায়গায় উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগের প্রধান সড়কগুলো এখন পানির নিচে। শত শত ফসলি জমি ডুবে আছে।
এছাড়া সিলেটের পাঁচ উপজেলায় বন্যার্ত মানুষের জন্য ৭৯ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
সূত্র : ইউএনবি