প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বিপ্লব। (প্রথম পর্বঃখাল খনন কর্মসূচি)
জিয়াউর রহমান যখন প্রথম বিপ্লবের কথা উথাপন করেন, তখন অনেকেই উদভ্রান্ত্র ও শঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন, এমনকি তার মন্ত্রী পরিষদের কয়েকজন ও পার্টির অনেকেই। তারা তাঁর প্রকৃত উদ্দেশ্য উপলব্ধি করতে পারেননি। অনেকেআমাকে অনুরােধ করলেন আমি যেন তাকে জানাই যে বিপ্লব কথাটি বলে তিনি
সকলের মধ্যে এক ভীতি ও দুশ্চিন্তার সঞ্চার করেছেন। তারা বললেন তিনি যেন বিপ্লবের ধারণা পরিত্যাগ করেন। তাদের মতে, বিপ্লবের কথা বলবে তাে বিরােধী
দলের লােকেরা, সরকার তাে বিপ্লবের কথা বলে না। তারা আরাে বললেন, বিপ্লব বলতে তাে মনে আসে মারামারি, খুনােখুনি, রক্তপাত, আগুন লাগানাে প্রভৃতি।বিপ্লব মানে হচ্ছে হিংসাত্মক আন্দোলন,সরকারকে উচ্ছেদ করার জন্যই বিপ্লব হয়।সরকার কেন বিপ্লব করবে? আমি নিজেও তার বিপ্লবের উদ্দেশ্য তখনাে
ভালােভাবে বুঝি নাই। একদিন আমি ঐসব নেতাদের প্রতিক্রিয়া তাকে জানালাম,তিনি বললেন, “ওদের বলে দেন, ওদের ধারণা ভুল, দুশ্চিন্তা অমূলক। সাধারণ
মানুষের ধারণা বিপ্লব সব সময়ই হিংসাত্মক হয়, কিন্তু তা সত্যি নয়। ইউরােপে শিল্পক্ষেত্রে যে যান্ত্রিক পরিবর্তন এসেছিল তাকে শিল্প বিপ্লব আখ্যা দেওয়া হয়।সে বিপ্লব কোনাে হিংসাত্মক রূপ নেয়নি। আমার যে বিপ্লব তাও হবে শান্তিপূর্ণ বিপ্লব,আমার বিপ্লবের উদ্দেশ্য হবে জনগণের শক্তিকে দেশের উন্নয়নের কাজে লাগানাে।
আমার বিপ্লবের লক্ষ্য হবে শােষণমুক্ত সমাজ গঠন। আমাদের দেশের বহু লােক অভুক্ত থাকে, বহু লােকের কর্ম সংস্থান নেই, বহু লােক শিক্ষার আলাে থেকে
বঞ্চিত, বহু লােকের থাকার বাসস্থান নেই, ওষুধ পায় না বহু লােক। যদি আমরা পরিকল্পিত বিপ্লবের মধ্য দিয়ে এসব সমস্যা সমাধানের চেষ্টা না করি তাহলেও বিপ্লব আসবে। বঞ্চিতের দল বিপ্লব করবে। তখন সে বিপ্লব হবে অপরিকল্পিত,সে বিপ্লব হবে নেতৃত্বহীন, সে বিপ্লব হবে হিংসাত্মক। এতে কারাের মঙ্গল হবে না বরং
দেশ রসাতলে যাবে। তাই সেই বিপ্লব ঠেকাতেই আমাদেরকে পরিকল্পিত বিপ্লবের প্রোগ্রাম নিয়ে এগুতে হবে,বসে থাকার সময় নেই। আমার বিপ্লবের লক্ষ্য হবে
কৃষি ক্ষেত্রে ও শিল্প ক্ষেত্রে উৎপাদন বৃদ্ধি। আমি নিরক্ষরতা দূরীকরণের বিপ্লব করব। আমার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে আমি স্বাবলম্বী, স্বনির্ভর উৎপাদনশীল জনগােষষ্ঠী গড়ে তুলব, যারা নিজের পায়ে দাঁড়াতে শিখবে, যারা নিজেদের সমস্যা নিজেরাই সমাধান করার আত্মবিশ্বাস লাভ করবে।”
১৯৭৯ সালের ১৮ নভেম্বর তিনি জাতির উদ্দেশ্যে এক ভাষণে বিপ্লবের ডাক দেন,সে ভাষণে তিনি বলেন, “বিপ্লব হবে আমাদের জীবন ধারার অঙ্গ যাকে অবশ্যই শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক পন্থায় এবং সংসদের মাধ্যমে সফল করে তুলতে হবে। আমাদের কাছে এ বিপ্লবের অর্থ নােংরা ঘুণে ধরা গলিত এবং অধঃপতিত যা কিছু আমাদের সমাজ ও জাতীয় জীবনকে কলুষিত করছে তার পূর্ণ প্রত্যাখ্যান,এর অর্থ জনগণের সার্বিক কল্যাণের জন্য পূর্ণ পুনরুজ্জীবন। এ বিপ্লবের সাফল্য অর্জন জাতির জন্য অপরিহার্য। কারণ, আমরা যদি ব্যর্থ হই তাহলে আমাদের ধ্বংস,আমাদের অস্তিত্বের বিলুপ্তি অনিবার্য ।”
আরাে বললেন, “জনগণকে নিয়ে জনগণের দ্বারা এবং জনগণের কল্যাণে এই বিপ্লব জাতীয় ঐক্যের বিকাশ ঘটাবে এবং আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে সুসংহত করবে ও আমাদের জীবনে আনবে দ্রুত সমৃদ্ধি।”
★খাল খনন কর্মসূচিঃ
শান্তিপূর্ণ বিপ্লবের প্রথম কর্মসূচি ছিল খাল খনন। স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে খাল খনন কার্য শুরু করা হয়। খাল খনন কর্মসূচি নিয়ে অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ
করেছিলেন। অনেকে বলেছিলেন, যে এটা জিয়াউর রহমানের উদ্ভট পরিকল্পনা।অনেকে বলেছিলেন এটা লােক দেখানো ব্যাপার,এর মাধ্যমে তিনি সস্তা জনপ্রিয়তা অর্জনের চেষ্টা করছেন।খাল কেটে জিয়াউর রহমান সাহেব কুমীর আনছেন। দু একটা খাল খননের পর ইঞ্জিনিয়ার সাহেবরা বললেন, এটা বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে হচ্ছে না। সুতরাং, এটা একটা ব্যর্থ
কার্যক্রম হয়ে দাঁড়াবে।
জিয়াউর রহমানকে যখন এ ধরনের প্রতিক্রিয়ার কথা জানালাম, তিনি এসব মােটেই গায়ে মাখলেন না। বললেন, “এ দেশে নতুন কিছু করতে গেলে
সমালােচনা হবেই। ওদের সমালােচনার জন্য আমরা পিছিয়ে যেতে পারি না। যারা খাল খননের বিরুদ্ধে বলছেন, প্রত্যেকের একটা স্বার্থ আছে অথবা তাদের
অজ্ঞানতা থেকে এসব বলছেন। ইঞ্জিনিয়ার সাহেবরা প্রতিবাদ করবেন, কারণ তারা টাকা মারতে পারবেন না। বিশেষজ্ঞরা বলবেন, কারণ তাদেরকে প্রাধান্য দেয়া
হচ্ছে না। ব্যুরােক্রাটরা বলবেন, কারণ তাদের ঝামেলা বেড়ে যাবে।আর রাজজনীতিকরা বলবেন, কারণ তাদের অসারতা প্রকাশ হয়ে পড়বে। তবে গ্রামের
চাষী আর জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করবে। যারা খাল খননের পেছনের দর্শন আর উপকারিতা বুঝবে তারা এর প্রশংসা করবে।”
“আমার খাল খনন প্রোগ্রামের পিছনে একটা দর্শন রয়েছে, তা হল খাল খননের মাধ্যমে আমি একটা গণজাগরণ সৃষ্টি করতে চেয়েছি। গ্রামবাসীদের মধ্যে
আত্মসচেতনতা ও স্বয়ম্ভরতা আনতে চেয়েছি। খাল খননের মধ্য দিয়ে খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে চেয়েছি। আমাদের গ্রামবাসীরা শুকনাে মৌসুমের সময় আকাশের দিকে চাতক পাখির মতাে চেয়ে থাকে বৃষ্টির অপেক্ষায়। কখন তাদের আশা পূরণ হয়,তখন তারা হতাশ হয়ে থাকে। পানির অভাবে শুকনাে মৌসুমে অনেক চাষী তাদের জমিতে চাষ করতে পারে না। অথচ পানি পেলে তারা জমিতে ভালাে ফসল ফলাতে পারে। খাল খননের ফলে তারা শুকনাে মৌসুমে পানি পেতে সক্ষম হবে আর তার ফলে তারা চাষাবাদ করতে পারবে। এতে তাদের অবস্থার উন্নতি হবে এবং দেশের খাদ্য উৎপাদনও বেড়ে যাবে। তাদের মধ্যে এই সচেতনতা জাগানাে যাবে যে পানির জন্য আকাশের দিকে চেয়ে না থেকে তাদের নিজেদের চেষ্টায়ই তারা শুকনাে মৌসুমে পানির ব্যবস্থা করতে পারবে। এই সচেতনতা একবার জাগলে তারা নিজেরাই স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে খাল খনন করে পানি জমিয়ে রাখার চেষ্টা করবে। আমাদের খাল খনন কর্মসূচিতে যেসব খাল খনন হবে
সেগুলাে পুরােপুরি বিজ্ঞানসম্মত না হলেও কিছু আসে যায় না। তাদের প্রয়ােজন মেটাতে সক্ষম হলেই চলবে। এ বছরের খনন করা খাল যদি অনেক খানি মজেও
যায়, পরবর্তী বছরে তারাই উদ্যোগী হয়ে আরও ভাল করে খাল কাটতে উৎসুক হবে। তাছাড়া এই সব খাল খননের ফলে প্রতি বছরের বন্যার ক্ষয়ক্ষতি
অনেকাংশে কমে যাবে। এ সব খালে মাছ চাষ করলেও তারা উপকৃত হবে এবং দেশে মাছের উৎপাদনও বাড়বে।।
এই দর্শন আর এই স্বপ্ন নিয়েই তিনি গ্রামের পর গ্রামে ছুটে বেড়িয়েছেন।এই খাল খনন কর্মসূচি সফল করতে তিনি নিজেই কোদাল ধরে চাষীদের সঙ্গে কাঁধে-কাঁধ মিলিয়ে খাল খনন কর্মসুচি গ্রাম থেকে গ্রামে বিস্তার করে গেছেন।তিনি নিজে খাল কাটা শুরু করেছিলেন। তার মন্ত্রী, উচ্চপদস্থ অফিসার, তার পার্টির নেতৃবর্গ ও স্থানীয় নেতাদেরও তার সঙ্গে অংশ নিতে হত। রাষ্ট্রপতি যদি সাধারণ মানুষের মতাে নিজ হাতে মাটি কাটতে শুরু করেন, তাহলে গ্রামবাসীরা স্বেচ্ছায় এগিয়ে আসতে কুণ্ঠাবােধ করবে না। তাই খাল খননের কর্মসূচি শুরু করতেন,দেখা যেত, হাজার হাজার গ্রামবাসী পূর্ণ উৎসাহে খাল খননে লেগে যেত।তাদের পক্ষে রাষ্ট্রপতিকে তাদের কাছে পাওয়া ছিল অত্যন্ত বড় পাওয়া।
জিয়াউর রহমানের খালকাটা অভিযানে লােকও যেমন জমত, খালকাটার কাজও অনেকক্ষণ ধরে চলত। এর কারণ কি? তিনি যখন কোনাে খালকাটার কর্মসূচিতে যেতেন তখন জনসভার অনুষ্ঠান থাকলে অনেক সময় জনসভা খালকাটা কর্মসূচি শুরু করার আগে শেষ করতেন। কারণ খালকাটা শেষ করে জনসভার প্রােগ্রাম থাকলে খালকাটার কাজ বেশিক্ষণ চলত না। জনসভায় আসার অজুহাতে খালকাটা ছেড়ে লােক চলে যেত, আর জনসভা শেষ করে খালকাটতে
শুরু করলে জনসভার লােক এবং অন্যান্য উদ্যোক্তারা সব থেকে যেত।
জিয়া সাহেব যখন খাল খনন কর্মসূচিতে যেতেন তখন মাত্র এক কোদাল বা কয়েক কোদাল মাটি কেটে আনুষ্ঠানিকতা করে কাজ শেষ করতেন না। তিনি
জামাখুলে শুধু গেঞ্জি পরে আর সকলের মতাে একজন হয়ে নিবিষ্ট চিত্তে বেশ কিছু সময় ধরে খাল কাটাতেন। তারপর যখন ক্লান্ত হয়ে পড়তেন তখন সেই কাটা
খালের ধারেই মাটির ওপর বসেই বিশ্রাম নিতেন আর খালকাটা দেখতেন। অনেক সময় ঘন্টার পর ঘণ্টা তিনি বসে বসে খালকাটা দেখতেন। তাই যারা খালকাটতে
আসতেন তারাও খালকাটা ছেড়ে যেতে পারত না।
যদিও তাকে যারা পছন্দ করতেন না, তারা বলতে চাইতেন যে জিয়ার খালকাটা একটা সস্তা জনপ্রিয়তা লাভ করার উদ্দেশ্যে ছিল। আসলে কিন্তু এটা।
কোনাে লােক দেখানাে ব্যাপার ছিল না। তিনি নিজে খাল কাটতেন, সকলকে খালকাটাতে উৎসাহিত করতেন আর সকলের দ্বারা খাল কাটিয়ে নিতেন।
তার বহুল প্রচারিত গেঞ্জি আর জিন্সের প্যান্ট পরিহিত খালের ধারে মাটির ওপর বসা ছবি দেখলেই বােঝা যায় একজন পরিশ্রান্ত অথচ সুখী আর পরিতৃপ্ত মানুষ মনের গভীর প্রশান্তি নিয়ে বিশ্রাম করতে বসেছেন। পোজ দিয়ে এ রকম ছবি তােলা যায় না।সাধারণ পরিবেশে কর্মক্লান্ত একজন মানুষের মূল্যবান এক মুহূর্তকে এই ছবিতে চিরদিনের জন্য ধরে রাখা হয়েছে।
১৯৭৯ সালের ১ নভেম্বর সারা দেশব্যাপী স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে খাল খনন কর্মসূচি শুরু হয়। খাল খনন কর্মসূচি দেশে প্রচণ্ড সাড়া জাগাল। শীতের মৌসুমে
খালের মধ্যে পানি সঞ্চয় করে শীতের ফসলের উৎপাদন বাড়ানাে হল। প্রথম বছরের সাফল্যে ১৯৮০-৮১ সালে এই কর্মসূচি আরাে বিস্তৃত আকারে চালু করা হল।দেড় বছরের মধ্যে প্রায় ১২০০ খালকাটা হয়েছিল।
এই খাল খনন কর্মসূচির আগে মাত্র শতকরা দশভাগ জমিতে শুকনাে মৌসুমে পানি সরবরাহ করা সম্ভব হত। পানির অভাবে অনেক জমি অনাবাদী পড়ে থাকত, আর অনেক জমিতে মাত্র একবার ফসল ফলানাে সম্ভব হত। এরকম প্রায় ১৯০ লাখ একর জমিতে মাত্র একবারই ফসল ফলানাে যেত। সে ক্ষেত্রে এখন দুবার ফসল ফলানাে সম্ভব হল।
খাল খননের প্রথম পর্যায়ে ৬৭৫.১৮ মাইল,১৯৩টি খাল খনন ও পুনঃ খনন করা হয়। সেচের সুবিধা বৃদ্ধির ফলে ১৯৮০-৮১সালে ১৯৭৯-৮০ সালের তুলনায় ছয় লক্ষ টন চাউল ও ১৫ লক্ষ টন গম উৎপন্ন হয়েছিল যা ছিল ১৯৭৬-৭৭ সালের চেয়ে ৩৭ লক্ষ টন বেশি।
জিয়াউর রহমানই প্রথম এদেশে গম উৎপাদনের ব্যাপারে চাষীদের উৎসাহিত করেন। তার আগে এ ব্যাপারে বিশেষ কারাে উৎসাহ ছিল না। তিনি বিদেশ থেকে উন্নতমানের গমের বীজ এনে চাষীদের মধ্যে বিতরণের ব্যবস্থা করে গম চাষে উৎসাহিত করেন। সেই সময় থেকে দেশের অনেক স্থানে গম উৎপাদন হয়ে
আসছে।
জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর খাল খনন কর্মসূচি স্তিমিত হয়ে পড়ে এবং এরশাদের আমলে এই কর্মসূচি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়। অথচ এই কর্মসূচি
দেশের পক্ষে যে কত মঙ্গলজনক তা জিয়াউর রহমানের প্রায় দু বছরের কর্মসূচিতে প্রত্যক্ষভাবে প্রমাণিত হয়েছিল।
অনেক সমালােচক খাল খনন সম্পর্কে অনেক বিতর্ক তুললেও গ্রামের জনগণ,বিশেষ করে কৃষক সম্প্রদায় এই কর্মসূচি গ্রহভরে গ্রহণ করেছিল, এবং এতে যে
তাদের মঙ্গল হচ্ছে তা উপলব্ধি করেছিল।তারা আনন্দের সঙ্গে তাদের সহযােগিতা দিয়েছিল এবং তাদের অন্তরের শ্রদ্ধা ও ভালবাসা জিয়াউর রহমানের প্রতি অর্পণ করেছিল। তিনি যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে চেয়েছিলেন তা সত্যিই বাস্তব রূপ নিয়েছিল। সুখের বিষয়, জিয়াউর রহমানের সুযােগ্যাপত্নী আমাদের প্রিয় প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া খাল খনন কর্মসূচি পুনরায় পূর্ণোদ্যমে চালু করেছেন।
উৎসঃ
বইঃ-জিয়াকে যেমন দেখেছি।
লেখকঃ-এস আব্দুল হাকিম।
অধ্যায়ঃ বিপ্লব কর্মসূচি।