মার্কিন হামলায় ইরানি জেনারেল নিহত
বাগদাদের একটি বিমানবন্দরে মার্কিন বিমান হামলায় ইরানের এক শীর্ষ জেনারেল নিহত হয়েছেন। নিহত জেনারেল কাসেম সোলাইমানি ছিলেন ইরানের এলিট কুদস বাহিনীর প্রধান। বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মার্কিন হামলায় অন্য ছয়জনের সাথে তিনি নিহত হন বলে খবর বলা হয়েছে।
ইরাকি কর্মকর্তারা ও রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলা হয়, হামলায় ইরাকি মিলিশিয়া কমান্ডার আবু মাহুদি আল-মুহান্দিসও নিহত হয়েছেন।
পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই মার্কিন কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এই হামলা চালিয়েছে।
পপুলরার মবিলাইজেশন ফোর্সেসস (পিএমএফ) এর আগে আলজাজিরাকে জানায়, উচ্চপদস্থ অতিথিদের বহনকারী দুটি গাড়ি রকেট হামলায় বিধ্বস্ত হয়েছে। এসব অতিথিকে পাহারা দিয়ে নিয়ে আসছিল পিএমএফের কর্মকর্তারা।
বাগদাদ থেকে আল জাজিরার সংবাদদাতা ওসামা বিন জাভেদ বলেন, পরিকল্পিতভাবেই এই হামলা চালানো হয়েছে।
এক সংবাদদাতা জানান, এই মৃত্যু ইরাক ও পুরো মধ্যপ্রাচ্যের জন্য একটি বড় ঘটনায় পরিণত হতে যাচ্ছে। তিনি বলেন, এই অঞ্চল ইতেমাধ্যেই যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই সিরিয়া সীমান্তের কাছে ইরাকে প্রায় ১০০টি পিএমএফ অবস্থানের ওপর হামলা চালিয়েছে।
আরো পড়ুন :
বাগদাদের ইরান দূতাবাসের আকাশে মার্কিন হেলিকপ্টারের টহল
ইরাকের রাজধানী বাগদাদের ইরান দূতাবাসের আকাশে একটি মার্কিন ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টার টহল দিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এর মাধ্যমে আমেরিকা ইরাকের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে যা চলমান উত্তেজনাকে আরো তীব্র করতে পারে।
ইরাকের স্বেচ্ছাসেবী বাহিনী হাশদ আশ-শাবির ঘাঁটিতে ভয়াবহ মার্কিন বিমান হামলার জের ধরে বাগদাদের মার্কিন দূতাবাসের সামনে যখন প্রচণ্ড বিক্ষোভ হচ্ছিল তখন ওই মার্কিন হেলিকপ্টার ইরান দূতাবাসের আকাশে টহল দেয়।
হাশদ আশ-শাবির অন্যতম কমান্ডার আবু রেজা আল-নাজ্জারের বরাত দিয়ে লেবাননের আল-মায়াদিন নিউজ চ্যানল জানিয়েছে, মার্কিন ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টারটি গত তিন দিন ধরে প্রতিদিন ২০ ঘন্টা ধরে বাগদাদের আকাশে টহল দিয়েছে।এর আগে বাগদাদের মার্কিন দূতাবাসের সামনে বিক্ষুব্ধ জনতার বিক্ষোভের সময় কুয়েত থেকে অতিরিক্ত ১০০ সেনা হেলিকপ্টারে করে এনে দূতাবাসের নিরাপত্তা রক্ষায় মোতায়েন করা হয়।
গত রোববার ইরাকের জনপ্রিয় স্বেচ্ছাসেবী বাহিনী হাশদ আশ-শাবি’র কয়েকটি ঘাঁটিতে ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়ে অন্তত ৩০ জওয়ানকে হত্যা করে আমেরিকা। এর প্রতিবাদে ইরাকি জনতা প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয় এবং তারা গতকাল (মঙ্গলবার) বাগদাদস্থ মার্কিন দূতাবাসের সামনে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখায়।
একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা দূতাবাসের দেয়ালের একাংশ এবং দূতাবাসের নিরাপত্তা চেকপোস্টে আগুন ধরিয়ে দেয়। তারা ‘আমেরিকা ধ্বংস হোক’ বলে স্লোগান দেয় এবং মার্কিন সেনাদের ইরাক থেকে বহিষ্কার করার আহ্বান জানায়।
সর্বশেষ বৃহস্পতিবার ইরাকের প্রধানমন্ত্রী আদিল আল-মাহদির আহ্বানে সাড়া দিয়ে মার্কিন দূতাবাসের সামনে থেকে সরে গেছেন বিক্ষোভকারীরা।