জোর করে নৌকায় ভোট, অসহায় প্রিসাইডিং অফিসার

তৃতীয় ধাপে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা, ত্রিশাল ও সদরে ভোটগ্রহণ চলছে। রোববার (২৮ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। সকাল থেকে ত্রিশালের বৈলর ইউনিয়নের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও আংরারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ চলতে দেখা যায়।

তবে উল্টো চিত্র দেখা যায়, বৈলর চরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে। কেন্দ্রে ঢোকার আগেই চোখে পড়ে নৌকার সমর্থকদের দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঠার মহড়া ও দুই পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া।

তবে সরব রয়েছে পুলিশ। তারাও দুই পক্ষের লোকজনদের ধাওয়া করে। কিন্তু একদিক দিয়ে ধাওয়া করলে অন্য দিক থেকে এসে আবারও কেন্দ্রের সামনে ভিড় জমান তারা।

এদিকে কেন্দ্রে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে নৌকার এজেন্টের বিরুদ্ধে একাধিক ভোট দেয়ার অভিযোগ করেছেন অন্য প্রার্থীর সমর্থকরা। প্রতিবাদ করলে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগও রয়েছে ভোটারদের। প্রিসাইডিং অফিসার এতে নীরব ভূমিকা পালন করছেন বলেও জানা গেছে।

ওই কেন্দ্রের নৌকার এজেন্ট হোসনা আক্তার বলেন, আমি কারোর ব্যালটে সিল মারিনি বা কাউকে নৌকায় ভোট দেয়ার জন্য বলিনি। সবাই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলছে।

একই কেন্দ্রের তালগাছ প্রতীকের এজেন্ট শাহনাজ আক্তার বলেন, এই কক্ষে কোনো শৃঙ্খলা নাই। নৌকার এজেন্ট বারবার ভোটারদের নৌকায় ভোট দিতে বলছেন। এমনকি নিজের হাতেও সিল মেরে দিচ্ছেন।

বৈলর চরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের সহকারী প্রিসাইডিং আকরাম হোসেন বলেন, আমি এই কক্ষ নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছি। তবে নৌকার প্রার্থীর এজেন্ট আমার কথা শুনছেন না। তাকে একাধিকবার বলার পরও ভোটারদের নৌকায় সিল মারতে বলছেন। তাকে বের করতে চাইলেও সে বের হচ্ছে না।

ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার জিয়াদুর রহমান বলেন, আমি বারবার কেন্দ্র নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছি। পুলিশ ও আনসার সদস্যরাও সহায়তা করছে।

গোপন কক্ষে একসাথে দুই থেকে তিনজন কিভাবে ঢুকছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সবদিক খেয়াল করতে পারছি না।

Comments (০)
Add Comment