‘বাংলাদেশের গণমাধ্যম বন্দী, মুক্ত নয়’

0

বাংলাদেশের গণমাধ্যম বন্দী, মুক্ত নয়বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

সোমবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশ সিভিল রাইটস সোসাইটি কর্তৃক আয়োজিতবিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস বাংলাদেশশীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি মন্তব্য করেন।

গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, গণমাধ্যম কর্মীরা অনাহারে অর্ধাহারে দিন যাপন করছে। এর জন্য আমরা যুদ্ধ করিনি। মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা হারাবে জন্য দেশ স্বাধীন করিনি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের গণমাধ্যম বন্দী, মুক্ত নয়। সময় বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন গাজীসহ সকল বন্দী সাংবাদিক নেতার মুক্তি দাবি করেন তিনি।

এই বীর মুক্তিযোদ্ধা বলেন, বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম আজ স্বাধীনতার ৫০ বছরেও স্বাধীন হয়নি। আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম গণমানুষের স্বপ্নপূরণের জন্য। কিন্তু তার সুফল আজও পাইনি। দেশের গণমাধ্যম মুক্ত স্বাধীন না হয়ে দেশটা গণমাধ্যম মুক্তহয়ে গেছে। আমরা চাই গণমাধ্যমে মুক্ত চিন্তা চেতনার বিকাশ ঘটাবে।

সময় সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ বলেন, বিশ্বসূচকে বাংলাদেশের গণমাধ্যমের অবস্থান দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ২০১৪ সালে ছিল ১২২তম। আর বর্তমানে তাদেরজরিপে ১৫২তম অবস্থানে পৌঁছেছে বাংলাদেশ। যা দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বনিম্ন।

তিনি বলেন, দেশের জিডিপি বাড়লেও বাংলাদেশের সাংবাদিকরা গরীব হচ্ছে। অর্থনৈতিক মানের দিকে ভিক্ষুকের চেয়েও নিম্নে অবস্থান করছেন সাংবাদিকরা। বাংলাদেশের মিডিয়া করপোরেট কোম্পানি সরকার ৯৯ পারসেন্ট নিয়ন্ত্রণ করছেন।

তিনি আরো বলেন, প্রতিবেশী দেশ ভারতের সমালোচনা করে সংবাদ প্রকাশ করলে ১৪ বছরের জেল। কিন্তু পাকিস্তানের সমালোচনা করলে পুরস্কৃত হওয়া যায়, অথচ বিশ্ব মিডিয়া সূচকে মুক্ত গণমাধ্যম হিসেবে পাকিস্তান আফগানিস্তান এমনকি মিয়ানমারের চেয়েও নিম্নে অবস্থান করছে বাংলাদেশের গণমাধ্যম।

সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে গত কয়েক বছরে সাংবাদিক হত্যা নির্যাতনের পরিসংখ্যান তুলে ধরে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন বিএফইউজে সভাপতি এম আবদুল্লাহ বলেন, ২০০৯ সাল থেকে ১২ বছরে দেশে ৪২ জন সাংবাদিক খুন হয়েছেন। সাগর রুনীসহ সকল সাংবাদিক হত্যার বিচার হচ্ছে না। গত বছর ১৬৯ জন সাংবাদিক নিগৃহীত হয়েছেন। হাজারো সাংবাদিক বেকারত্বের গ্লানি নিয়ে কষ্টে দিনাতিপাত করছেন। অথচ সরকারি অর্থ সাংবাদিকদের জন্য বরাদ্দ করে তা দলীয় লোকজনের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে। প্রকৃত সমস্যাগ্রস্ত সাংবাদিকরা পাচ্ছে না।

সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন বিএফইউজে মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, ঢাকাসাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মোরসালিন নোমানী, ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি শারমিন রিনভী, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি ইলিয়াস হোসেন, ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি কে এম মহসিন নুরুদ্দিন, সিনিয়র সাংবাদিক মাজেদুর রহমানবিশ্বাস, মাহমুদ হাসান, এরফানুল হক নাহিদ, আসাদুজ্জামান আসাদ, শাখাওয়াত ইবনে মইন চৌধুরী প্রমুখ।

সভার সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ সিভিল রাইটস সোসাইটির সভাপতি মো: জাকির হোসেন প্রমুখ।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com