অবশেষে ‘হার স্বীকার’, ক্ষমতা হস্তান্তরের ঘোষণা ট্রাম্পের
অবশেষে গেল নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিজের পরাজয় স্বীকার করে নিয়মতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একইসঙ্গে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী নবনির্বাচিত জো বাইডেনকেও বিজয়ী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন তিনি।
মার্কিন কংগ্রেসের অধিবেশনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট ভবনে (ক্যাপিটল বিল্ডিং) ট্রাম্পপন্থিদের নজিরবিহীন হামলা, ভাঙচুর ও সহিংসতার পর বৃহস্পতিবার দেশটির কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে বাইডেনের আনুষ্ঠানিক বিজয় ঘোষণার পর এক বিবৃতিতে ট্রাম্প নিজের হার স্বীকার করে নেন।
তবে বাইডেনের আনুষ্ঠানিক বিজয় ঘোষণার পরও নতুন প্রেসিডেন্টকে অভিনন্দন জানাননি ট্রাম্প। বরং এখনও তিনি নির্বাচনে কারচুপি ও জালিয়াতির অভিযোগ তুলেই যাচ্ছেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন’র খবরে বলা হয়েছে, ট্রাম্প বলেছেন, বাইডেনের আনুষ্ঠানিক বিজয় ঘোষণার মধ্য দিয়ে তাঁর প্রেসিডেন্ট যুগের সমাপ্তি হলো।
বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেছেন, ‘যদিও নির্বাচনের ফলাফলে আমি খুবই হতাশ, তথাপি ২০ জানুয়ারি নিয়মতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমি সবসময় বলে এসেছি, আমার লড়াইটা হলো শুধু বৈধ ভোট গণনা নিশ্চিত করার।’ তিনি নিজের শাসনামলকে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের ‘অন্যতম সেরা সময়’ বলেও উল্লেখ করেন।
বিবৃতির মধ্য দিয়ে আগামী দিনের নির্বাচনী প্রচার শুরুর ইঙ্গিত দিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, ‘মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন’র লড়াই সবে শুরু হলো।’
এদিকে বাইডেনের আনুষ্ঠানিক জয় ঘোষণার জন্য কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশন শুরুর আগে থেকেই ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ের সামনে ট্রাম্প সমর্থকরা জড়ো হতে থাকেন। যাদের মধ্যে বিভিন্ন গ্রুপের কিছু উগ্রপন্থিও ছিলেন। সেখানেই নভেম্বরের নির্বাচনে ডেমোক্রেটদের বিজয় ও নিজেদের পরাজয় মেনে না নেয়ার ঘোষণা দেয় বিক্ষোভকারীরা।
এক পর্যায়ে ট্রাম্প সমর্থকরা ক্যাপিটল ভবনে নিরাপত্তা ব্যারিকেড ভেঙে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়। পুলিশি বাধা ভেঙে তারা ঢুকে পড়ে ক্যাপিটল ভবনে। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ও পেপার স্প্রে ব্যবহার করে পুলিশ। ব্যাপক ভাঙচুরের পাশাপাশি গোলাগুলির ঘটনায় নারীসহ অন্তত ৪ জন নিহত হয়। সংঘর্ষ ও সহিংসতা এড়াতে ওয়াশিংটন ডিসিতে কারফিউ জারির নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র।